আরজি কর (RG kar protest) আন্দোলন ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে ততই আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ছে। কিন্তু এই আন্দোলনে বামেদের (CPIM) কাছে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে রাজ্যের অন্যতম বিরোধী দল বিজেপি (BJP)।
Mamata Banerjee: আরজি কর কাণ্ডের জের, রাজীব কুমারের উপস্থিতিতে ‘হাইলেভেল’ বৈঠকের ডাক মমতার
সাম্প্রতিক ঘটনায় সরকার-বিরোধী প্রতিবাদের আবহেও কার্যত দু’টি প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হচ্ছে বিজেপিকে। প্রথমত, নাগরিক সমাজ এই নিয়ে যে ভাবে আন্দোলন সংগঠিত করছে, সেখানে দলীয় উপস্থিতি ততটা জোরালো হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, এই ঘটনার প্রতিবাদে বামেদের বিভিন্ন কর্মসূচিতেও যথেষ্ট সাড়া মিলছে। সব মিলিয়ে বিরোধী পরিসরে একচ্ছত্র দখলদারি তো বটেই, সামান্য দাঁত ফোটাতেও কালঘাম ছুটছে বিজেপির।
ক্যানিংয়ে সন্দীপের বিলাসবহুল ভিলা মনে করাচ্ছে পার্থের ‘অপা’কে
বিজেপি আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে প্রথম দফায় শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে ধর্না কর্মসূচি নিয়েছিল। দলের প্রায় সব স্তরের নেতা-কর্মীরা ওই কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন। তার পরেই ‘ছাত্র সমাজে’র নবান্ন অভিযান এবং তাকে কেন্দ্র করে ১২ ঘণ্টার বন্ধে পুলিশ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে গিয়ে বিরোধী পরিসরে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে চেয়েছিল বিজেপি। প্রথম ধর্নার সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে আরও এক দফা ধর্নার কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি।
আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপকে ক্লিনচিট তাঁর পত্নীর
কিন্তু তাতে কিছু লাভ হয়নি। আবার ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে বিজেপি যেভাবে ইন্ধন দিতে চেয়েছিল তা আগেই প্রকাশ করে দেয় কলকাতা পুলিশ। ওই অভিযানে সমর্থন করেনি সিপিএম। যারফলে সেই আন্দোলনে অনেকটা নেতিবাচক প্রভাবন পড়ে জনমানষে। সুতরাং এই মুহূর্তে আরজি কর আন্দোলনে বামেদের সঙ্গে প্রতিযোগীতায় বিজেপিকে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।