‘ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো’, এই বাংলা প্রবাদটি যেন বামপন্থীদের (CPIM) মজ্জায় মজ্জায় ঢুকে আছে। আবারও তার প্রমান পাওয়া গেল। সিপিএম নেতা সৃজন ভট্টাচার্য যিনি এই মুহূর্তে বামফ্রন্টের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন। তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেছেন কিছু ছবি এবং একটি লেখা।
সৃজন লিখেছেন পৃথিবীর কাছে কিউবা একটি মুক্তিকামী দেশের উদাহরণ। ভারতের কাছেও উদাহরণ কারণ এই দেশে চাকরির জন্য শুকতলা খোয়াতে হয়না। খাদ্য, বস্ত্র এবং বাসস্থানের সমস্ত দায়ভার নেয় সরকার। সেই কিউবাকে শত্রু ঘোষণা করেছে ট্রাম্প। সৃজনের দাবি কিউবা, প্যালেস্টাইন কে ভাতে মারতে চাইছে আমেরিকা।
তাই সৃজন এবং বাম বাহিনী মানুষের কাছ থেকে কিউবা-প্যালেস্টাইনের নাম করে টাকা তুলছে। এর আগেও গাজা-ইসরায়েল সমস্যা নিয়ে গাজ়ায় ইজ়রায়েলের হামলার প্রতিবাদে মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করতে চেয়েছিল এআইপিএসএফ (অল ইন্ডিয়া পিস অ্যান্ড সলিডারিটি ফাউন্ডেশন)। কিন্তু অনুমোদন দেয়নি মুম্বই পুলিশ।
এর পরেই মুম্বই পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে যায় সিপিআইএম। সুপ্রিম কোর্টে গেলেও মামলার শুনানিতে বিচারপতি রবিশঙ্কর ঘুঘে এবং বিচারপতি গৌতম আঙ্কাদের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে , “আপনারা গাজ়া আর প্যালেস্টাইন নিয়ে ভাবছেন। কিন্তু নিজের দেশের দিকে তাকান। দেশপ্রেমী হোন।” আদালতের এই চড় খেয়েও যে বামেরা এখনও নিজেদের সংশোধন করেনি তা বোঝাই যাচ্ছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায় তার এক্স হ্যান্ডেলে বলেছিলেন এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। এ হল বামেদের স্বাভাবিক ‘পশ্চাৎপক্কতা।’ এই ধরণের আরও একটি ঘটনার উদাহর দেওয়া যেতেই পারে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে ভারত। সেই সময়ে পাকিস্তানের সাধার মানুষের জন্য এভাবেই প্রাণ কেঁদে উঠেছিল কমরেডদের।
মিরাতুন নাহারের মত পক্ককেশী তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের হাত ধরে সেই সময় মিছিলে নাম বাম বাহিনী। সৃজনের আজকের এই পোস্ট এবং লেখা নিয়েও শুরু হয়েছে বিস্তর সমালোচনা। আইনজীবী তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি তার এক্স হ্যান্ডেলে সৃজন কে কটাক্ষ করে বলেছেন। খুন হয়ে যাওয়া চন্দন দাস এবং হরগোবিন্দ দাস এদের ভোটার ছিল।
কি পদক্ষেপ ছিল সিপিএমের। বাংলাদেশের হিন্দুদের বেছে বেছে খুন করা হচ্ছে তা নিয়েও কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই তাদের। একজন সমাজ মাধ্যম ব্যাবহারকারী লিখেছেন ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার ছোট্ট শিশু তামান্না। কতবার সৃজনরা তাদের সাথে গিয়ে দেখা করেছেন। শুধু তাই নয় সমোলোচকরা বলছেন নিজেদের দেশে এত সমস্যা।
সর্বোপরি বাংলায় এতো সমস্যা। শিক্ষা, বাসস্থান, কর্ম সংস্থান এই সব ইসু নিয়ে কখনো সরব হতে দেখা যায়নি কমরেডদের। সিপিএম জমানার কিছু মানুষের বক্তব্য সিপিএম এর ৩৪ বছরের সরকার কি ধরণের উন্নয়ন করেছে। তখনও চাকরি পেতে জুতোর শুকতলা ক্ষয়ে যেত। প্রাথমিকে ইংরেজি শিক্ষা বন্ধ করে দেওয়া, কম্পিউটার শিক্ষার বিরোধিতা যারা করে তাদের মুখে এই ধরণের কথা মানায় না।
শ্রীনগরের কাছে গুলির শব্দ, জঙ্গিদের ধরতে তল্লাশি অভিযান শুরু নিরাপত্তা বাহিনীর
সর্বোপরি একবার আদালতের সাবধানবাণীতেও যাদের টনক নড়েনি যারা আজও ‘ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো’ বাংলা প্রবাদ সত্যি করবার জন্য প্রত্যেকদিন সচেষ্ট, আশা করা যায় তারা কখনোই শূন্য শুধু শূন্য নয়ের তাৎপর্য বুঝবে না।