গোয়াল ঘরে খুলল আইসিডিএস সেন্টার, ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা

গোয়াল ঘরের আইসিডিএস সেন্টার (ICDS Center) চালানোর ঘটনা নিয়ে এখন তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার গঙ্গাসাগর বিধানসভার…

ICDS Center

গোয়াল ঘরের আইসিডিএস সেন্টার (ICDS Center) চালানোর ঘটনা নিয়ে এখন তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার গঙ্গাসাগর বিধানসভার নামখানা ব্লকের শিবনগর আবাদ ৩১৯ নম্বর পূর্ণ প্রতিভা আইসিডিএস সেন্টারটি গত ২০ বছর ধরে একটি গোয়ালঘরে চলে আসছে। অভিযোগ, বিগত দুই দশক ধরে স্থানীয় প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সেন্টারের জন্য একটি স্থায়ী ভবন তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে শিশুরা ও শিক্ষকরা অস্বাস্থ্যকর ও অস্বাভাবিক পরিবেশে পাঠ গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, শুরুর দিকে এই সেন্টারটি চলছিল এলাকার একজন ব্যক্তির জমিতে, কিন্তু সেখানে স্থায়ী কোনো ভবন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এরপর স্থানীয় কল্যাণী টঙ্গী নামে এক ব্যক্তি তার বাড়ির পাশে একটি গোয়ালঘর দান করেন, যেখানে গরু থাকার জন্য ব্যবহৃত স্থানেই চলছিল আইসিডিএস সেন্টারের কার্যক্রম। তবে, এটি অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর এবং অযোগ্য পরিবেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বর্ষাকালে পানি জমে এবং গরমের সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন করা হয়, যা শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

   

এছাড়া, খাবারের মান নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। সেন্টারের শিক্ষক ও সহায়িকা জানিয়েছেন যে, সেন্টারের খাবারে প্রায়ই পোকা বা টিকটিকি পড়ে, যা শিশুদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পাশাপাশি, পড়াশোনা বা শিক্ষা কার্যক্রম না হওয়ার কারণে শিশুরা তাদের মৌলিক শিক্ষা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এলাকাবাসী মনে করছেন, সেন্টারটি শুধুমাত্র খাবার সরবরাহের কেন্দ্র হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে, যার ফলে এটি তার আসল উদ্দেশ্য থেকে অনেকটাই বিচ্যুত হয়েছে।

এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিষেক দাস জানিয়েছেন, এই সমস্যাটি তারা অবিলম্বে সমাধান করবেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে, আইসিডিএস সেন্টারের জন্য একটি নতুন স্থায়ী ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এই বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি কার্যকর সমাধান বের করা হবে।

এদিকে, এলাকাবাসী এবং অভিভাবকদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব একটি নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর এবং উপযুক্ত পরিবেশে সেন্টারটি পরিচালনা করা হোক, যাতে শিশুরা তাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলিত না হয়।