“সন্দীপদের ‘ভার্চুয়াল হাজিরার’ আবেদন খারিজ, নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে পুলিশকেই” : আদালত

আরজি কর কাণ্ডের প্রথম দিন থেকেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে ভুরি ভুরি…

sandip ghosh edit

আরজি কর কাণ্ডের প্রথম দিন থেকেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরেই জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে অধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

পরে রাজ্যের পক্ষ থেকে সন্দীপকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ করা হয়। পড়ুয়াদের ক্ষোভের শিকার হয়ে সেই কলেজে ঢুকতেই পারেননি তিনি। রাজ্য সরকারকে বাধ্য হয়ে নিয়োগপত্র ফিরিয়ে নিতে হয়। এরপর ১৬ দিন তাকে জেরা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর্থিক দুর্নীতির মামলাতে ২ সেপ্টেম্বর সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হন। গত ৩ সেপ্টেম্বর তাঁকে আদালতে পেশ করার সময় আদালতের বাইরে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ভিড়ের মাঝে থাকা এক ব্যক্তি সপাটে চড়ও মারেন সন্দীপকে। ‘চোর চোর’ বলে চিৎকার করতে থাকে বিক্ষোভকারীরা।

   

উক্ত দিনের কথা মাথায় রেখেই সন্দীপ ঘোষ সহ বাকি ধৃতদের ‘ভার্চুয়াল’ শুনানির আবেদন করেছিল সিবিআই। কিন্তু, সেই আবেদনেও সাড়া পাওয়া গেল না। সূত্রের খবর, এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আলিপুর আদালত। শুনানির জন্য সশরীরেই হাজিরা দিতে হবে সন্দীপ সহ বাকি ধৃতদের।

এর জেরে আদালতের পক্ষ থেকে পুলিশদের কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। পুলিশকেই বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আদালতের নির্দেশ পাবার পরেই আদালত চত্বরে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। ইতিমধ্যেই সেখানে গার্ডরেল বসানোর কাজ শুরু করেছে পুলিশ।