‘রাস্তা চোরে’ অভিযুক্ত তৃণমূল প্রধানকে গ্রেফতারের দাবিতে বিজেপির ধর্ণা

Corruption in Road Construction: BJP Demands Action Against Santipur Panchayat Head

শান্তিপুর: পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে বরাদ্দ হওয়া ৭৫,০০০ টাকার রাস্তা নির্মাণে তৃণমূল পরিচালিত গয়েশপুর পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকরা অভিযোগ তুলে প্রধানের গ্রেফতারের দাবিতে শান্তিপুর ব্লকের বিডিও অফিসের সামনে ধর্নায় বসেছেন। এই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন গয়েশপুর পঞ্চায়েতের ২০ নং সংসদের মেম্বার রাজীব সান্ডেল, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

Advertisements

অভিযোগকারীদের দাবী অনুযায়ী, গয়েশপুর পঞ্চায়েতে বরাদ্দ হওয়া রাস্তা তৈরির জন্য অর্থ পাওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট রাস্তা যথাযথভাবে নির্মাণ করা হয়নি। অভিযোগ অনুযায়ী, এই বরাদ্দ অর্থ ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণ না করে প্রধান শ্যামল ঘোষ নিজের ওয়ার্ডে রাস্তা বানিয়েছেন এবং বরাদ্দকৃত টাকা কাটমানি হিসেবে আত্মসাৎ করেছেন।

অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণ
গয়েশপুর পঞ্চায়েতের ২০ নং সংসদের সদস্য রাজীব সান্ডেল জানান, তাঁর ওয়ার্ডে যে রাস্তার জন্য বরাদ্দ অর্থ পাওয়া গিয়েছিল, সেই রাস্তা না বানিয়ে প্রধান নিজের ওয়ার্ডে রাস্তা বানানোর কাজ করেছেন। প্রায় দশ বছর ধরে রাস্তাটি খারাপ অবস্থায় থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ বছর এই রাস্তায় বরাদ্দ অর্থ প্রধান স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করেছেন বলে দাবী রাজীব সান্ডেলের। তিনি বলেন, “এই বিষয়ে বিডিও সন্দীপ ঘোষকে আমরা ৩ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

ধর্না এবং প্রতিবাদ
অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রধান শ্যামল ঘোষের গ্রেফতারের দাবিতে শান্তিপুর ব্লকের বিডিও অফিসের সামনে ধর্নায় বসেন। তাদের মতে, প্রধানের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে এগোবেন। পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, “প্রধানের এমন কর্মকাণ্ডে আমাদের এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। বিষয়টি নিয়ে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অভিযোগ জানাবো।”

Advertisements

বিডিওর প্রতিক্রিয়া
এই বিষয়ে শান্তিপুরের বিডিও সন্দীপ ঘোষ জানান যে, তাঁর কাছে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে এবং গোটা ঘটনার তদন্ত করা হবে। তিনি বলেন, “অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে প্রধানের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং দোষীর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।”

গ্রামবাসীদের প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, “এই রাস্তা বহুদিন ধরে খারাপ অবস্থায় রয়েছে, বরাদ্দ অর্থ পাওয়ার পরেও রাস্তার কাজ না হওয়ায় আমরা হতাশ। প্রধানের এ ধরনের দুর্নীতির কর্মকাণ্ডে আমরা ক্ষুব্ধ এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমরাও আন্দোলনে নামবো।”
এই ঘটনায় স্থানীয় রাজনীতিতে উত্তেজনা বেড়েছে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।