বঙ্গোপসাগর থেকে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে সামুদ্রিক ঘূর্ণি ঝড় মোচা (Mocha Cyclone)পরিণত হওয়ার আশঙ্কায় উপকূলবর্তী জেলা প্রশাসনকে পর্যাপ্ত ত্রাণ ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা তৈরি রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর উপকূলীয় এলাকার গ্রামীণ জনজীবনে প্রশ্ন, ত্রাণ চুরি হবে না তো? বিতর্কিত এই প্রশ্ন বারবার সামাজিক মা়ধ্যমে উঠে আসছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, সুন্দরবন, দিঘা এলাকায় নদী ও সমুদ্রের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে বাসিন্দাদের আমরা সরিয়ে নেব। আমরা নজর রেখেছি। আমরা ২৪x৭-এর কন্ট্রোলরুম খুলেছি। নবান্নের পাশাপাশি জেলাতেও রয়েছে কন্ট্রোল রুম। সেরকম বিপর্যয় ঘটলে ত্রাণ সামগ্রীও যথেষ্ট পরিমাণে মজুত রয়েছে।’
আর উপকূলীয় দুই জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তির্ণ এলাকায় ঘূর্ণি ঝড়ের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা। আবার উত্তর ২৪ পরগনার কিছু অংশেও ঝড়ের প্রভাব পড়ে বারবার। অভিযোগ, প্রতিবারই সামুদ্রিক ঘুর্ণির সময় সরকারি ত্রাণের বিপুল নয়ছয় হয়। আমফান, ফনী সহ বিভিন্ন সময়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, গত কয়েকবছরে ত্রাণ চুরিতে জড়িত তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু নেতা। এদের সাথে হাত মেলায় একাংশ ব্যবসায়ী। আরও অভিযোগ, রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে ত্রাণ দুর্নীতি প্রবল হারে বেড়েছে।
ঘূর্ণি ঝড় আসার আগেই ত্রাণ দুর্নীতির অভিযোগের ঝড় উঠেছে উপকূলীয় এলাকাগুলিতে। এ নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে, ঝড় এলেই কপাল খোলে স্থানীয় তৃ়নমূল নেতাদের। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ বা মায়ানমারের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।