রসগোল্লার ‘জিআই ট্যাগ’ নিয়ে বাংলার সঙ্গে ওডিশার (Jaganath Temple) দ্বন্দ্বের স্মৃতি এখনও টাটকা। এবার সেই দ্বন্দ্ব যেন ফিরে এল নতুন রূপে— ‘ধাম’ ও ‘মহাপ্রসাদ’ শব্দ ঘিরে। একদিকে ওডিশার পুরী, আর অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের দিঘা। পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং রাজ পরিবারের দাবি, ‘ধাম’, ‘মহাপ্রসাদ’, ‘শ্রীক্ষেত্র’— এই সব শব্দ শুধুমাত্র পুরীর সঙ্গেই যুক্ত থাকতে পারে। অন্যত্র ব্যবহারকে তাঁরা ঐতিহ্য ও ধর্মীয় ভাবাবেগের পরিপন্থী বলে মনে করছেন।(Jaganath Temple)
পেটেন্টের পথে পুরী(Jaganath Temple)
পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই ‘শ্রীক্ষেত্র’,(Jaganath Temple) ‘জগন্নাথধাম’, ‘মহাপ্রসাদ’ ইত্যাদি শব্দের পেটেন্ট পেতে আইনত পদক্ষেপ নিয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, এই শব্দগুলির ঐতিহাসিক, ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্ব রয়েছে, এবং এগুলোর একচেটিয়া ব্যবহারের অধিকার শুধুমাত্র পুরীর মন্দিরেরই থাকা উচিত। সূত্রের খবর, যদি দিঘায় এই শব্দগুলির ব্যবহার বন্ধ না হয়, তাহলে তারা আদালতের শরণাপন্ন হবে।(Jaganath Temple)
পাল্টা অবস্থানে দিঘা(Jaganath Temple)
অন্যদিকে, দিঘা জগন্নাথ মন্দির, যা সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও ইসকনের উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে, তার পক্ষের দাবি একেবারে ভিন্ন। ইসকন কলকাতার ভাইস (Jaganath Temple) প্রেসিডেন্ট এবং দিঘা মন্দির পরিচালনা ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য রাধারমণ দাস জানিয়েছেন, “আমরা শাস্ত্র ঘেঁটে বুঝিয়ে দিয়েছি যে জগন্নাথ ‘ধাম’ শুধু পুরীতেই নয়, ভুবন, দ্বারকা, বৃন্দাবন, মায়াপুরসহ বহু জায়গাতেই হতে পারে। পুরাণ ও ধর্মগ্রন্থেই তার প্রমাণ রয়েছে।”
পত্রযুদ্ধ দুই পক্ষের(Jaganath Temple)
এই নিয়ে ইতিমধ্যেই দুই পক্ষের মধ্যে পত্র আদানপ্রদান শুরু হয়েছে। (Jaganath Temple) পুরীর রাজা গজপতি দিব্য সিংহ দেব একটি চিঠিতে জানিয়ে দেন, “শ্রীক্ষেত্র ছাড়া অন্য কোনও জায়গায় ‘জগন্নাথধাম’ শব্দের ব্যবহার অনুচিত।” সেই চিঠির পাল্টা জবাবে ইসকন ইন্ডিয়া স্কলার বোর্ড থেকে শাস্ত্র ও পুরাণের নানা উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ধর্মতত্ত্ব অনুসারে একাধিক ‘ধাম’ থাকতে পারে। এই চিঠি পুরীতে পাঠানো হলেও, এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর আসেনি।(Jaganath Temple)
সরকারের অবস্থান(Jaganath Temple)
পুরী মন্দির কর্তৃপক্ষের অভিযোগে সাড়া দিয়ে(Jaganath Temple) ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে অনুরোধ করা হয়, দিঘায় ‘ধাম’ ও ‘মহাপ্রসাদ’ শব্দের ব্যবহার বন্ধ করতে। কিন্তু সেই অনুরোধের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত দিঘা মন্দির কর্তৃপক্ষ বা রাজ্য সরকার কোনও ধরনের পরিবর্তনের পদক্ষেপ নেয়নি।(Jaganath Temple)
ঐতিহ্য না প্রতিদ্বন্দ্বিতা?(Jaganath Temple)
বিষয়টি ক্রমশ দুই রাজ্যের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে পরিণত হচ্ছে। পুরীর দাবি, ‘মহাপ্রসাদ’ শব্দটির ব্যবহার শুধুই শ্রীমন্দিরের প্রসঙ্গে করা উচিত, কারণ এটি তাদের হাজার বছরের ধর্মীয় ঐতিহ্য। অন্যদিকে, দিঘার পক্ষের দাবি, ভক্তি ও শাস্ত্র মতে, জগন্নাথ যে কোনও (Jaganath Temple) ভক্তের হৃদয়ে বিরাজ করেন, এবং সেই বিশ্বাসকে সীমাবদ্ধ করা যায় না।
এই বিতর্ক রসগোল্লার মতো শেষ পর্যন্ত আইনি পথে গড়াতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। পুরী জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ যেখানে ঐতিহ্য রক্ষার দোহাই দিচ্ছে, দিঘা মন্দির কর্তৃপক্ষ সেখানে শাস্ত্র ও ধর্মীয় অধিকারের যুক্তি তুলে ধরছে। শেষ কথা বলবে আদালত বা কোনও মধ্যস্থ সমঝোতা। তবে ভক্তিমার্গের এই লড়াই যে আগামী দিনে আরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, তা বলাই বাহুল্য।(Jaganath Temple)