Taslima Nasrin: বিতর্কিত বাংলাদেশি নাস্তিক লেখিকা তসলিমা নাসরিনের লেখা লজ্জা অবলম্বনে হতে চলা একটি নাটক পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিষিদ্ধ করেছে বলে অভিযোগ। খোদ লেখিকা তসলিমা নাসরিন নিখেছেন, “মমতা ব্যানার্জি আজ আমার লজ্জা নাটকটি পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ করলেন।”
‘লজ্জা’ তসলিমা নাসরিন রচিত একটি উপন্যাস। এই উপন্যাসটি একাধিক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধংসের জেরে বাংলাদেশে সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত ‘লজ্জা’ বইটি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।
তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, “গোবরডাঙ্গায় আর হুগলির পাণ্ডুয়ার নাট্যউৎসবে লজ্জা নাটকটি মঞ্চস্থ হওয়ার কথা ছিল। দু’মাস যাবৎ বিজ্ঞাপন যাচ্ছে নাট্যউৎসবের। আর আজ, বলা নেই কওয়া নেই, হঠাৎ মমতা ব্যানার্জির পুলিশ এসে জানিয়ে দিল, সব নাটক মঞ্চস্থ হবে, শুধু লজ্জা ছাড়া। নবপল্লী নাট্যসংস্থা দিল্লিতে তিনবার নাটকটি মঞ্চস্থ করেছে। তিনবারই প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে লজ্জা মঞ্চস্থ হলে মুসলিমরা নাকি দাঙ্গা বাঁধাবে। মুসলিমরা দাঙ্গা বাঁধাবে এই অজুহাতে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে লেখা আমার মেগাসিরিয়াল ‘দুঃসহবাস’,যেটি টেলিভিশনের আকাশ ৮ চ্যানেল থেকে সম্প্রচার করার কথা ছিল, সেটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন রাজ্য সরকার। লজ্জার ঘটনা বাংলাদেশের। কী কারণে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে দাঙ্গা বাঁধাবে, আমার বোধগম্য নয় মুসলিমরা দাঙ্গা বাঁধাবে এই অজুহাতে আমাকে এক সময় পশ্চিমবঙ্গ থেকেও বের করে দেওয়া হয়েছিল।”
তসলিমা লিখেছেন “যারা দাঙ্গা বাঁধাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে, শিল্প সাহিত্যকে নিষিদ্ধ করা হয় কেন? শিল্পী সাহিত্যিকের কন্ঠরোধ করা হয় কেন? এই প্রশ্নটি আর কত যুগ একা একা আমিই করে যাব? আর কারও দায়িত্ব নেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করার?”