‘নব্য’ নেতাদের মানব না! কর্মসমিতির বৈঠকের আগেই অন্তর্দ্বন্দ্বে জেরবার পদ্ম শিবির

কলকাতাঃ বিজেপির (BJP) কর্মসমিতির বৈঠকের আগেই আদি-নব্য সংঘাতে বেকায়দায় বঙ্গ বিজেপি। রাজ্য বিজেপির সদর কার্যালয় মুরলীধর সেন লেনের অন্দরের বিবাদ এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তৃণমূল…

West Bengal Bjp

কলকাতাঃ বিজেপির (BJP) কর্মসমিতির বৈঠকের আগেই আদি-নব্য সংঘাতে বেকায়দায় বঙ্গ বিজেপি। রাজ্য বিজেপির সদর কার্যালয় মুরলীধর সেন লেনের অন্দরের বিবাদ এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তৃণমূল থেকে আগত বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে রীতিমতো খড়গহস্ত বিজেপির আদি নেতারা।

লোকসভা ভোটে দলের ভরাডুবির পর দলের বর্তমান শীর্ষ নেতৃত্বকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন আদি বিজেপি নেতারা। তাঁদের এই ক্ষোভের কারণ যে শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikeri) ও সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) তা বুঝতে কারওর ভুল হওয়ার কথা নয়।

   

বাংলার পর এবার মুম্বাইয়েও চুটিয়ে প্রচার মমতার! মারাঠা রাজনীতিতে তৃণমূলের এন্ট্রি?

ভোটে ভরাডুবি এবং ‘নীতি পঙ্গুত্ব’ নিয়ে রাজ্য বিজেপির মধ্যে এই সমান্তরাল বিভেদ ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। যার ফলে ইতিমধ্যেই আদি বিজেপি পরিবার ও বিজেপি বাঁচাও মঞ্চ নামে দুটি সংগঠন গড়ে তোলা হয়েছে। লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর আগামী ১৭ জুলাই কলকাতায় কর্মসমিতির বৈঠকে বসতে চলেছে গেরুয়া শিবির।

সেখানেই দলের ভরাডুবি নিয়ে ময়নাতদন্তে বসতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সেই বৈঠকে রাজ্য নেতাদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতারাও উপস্থিত থাকবেন। সেখানে দলের পরিস্থিতি নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেটাই দেখার।

বিজেপির এই তারকা সাংসদের সঙ্গে দেখা করতে হলেই আনতে হবে আধার কার্ড!

তবে বিজেপির অন্দরে কানপাতলে শোনা যাচ্ছে নেতৃত্বে রদবদলের প্রশ্ন। সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পরও রাজ্য সভাপতির পদে এখনও বহাল রয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে লোকসভা ভোটে লড়াই করেছিল দল। কিন্তু এরকম হতাশাজনক ফলাফল হয়তো অপ্রত্যাশিত ছিল গেরুয়া শিবিরের কাছে। আর তারপর থেকেই সুকান্তকে সরিয়ে ফের দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) ফিরিয়ে আনার আওয়াজ উঠতে থাকে দলের অন্দরে। এনিয়ে ইতিমধ্যে মুখ খুলে বিতর্কও বাড়িয়েছেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, ক্ষমতা ও পদ ছাড়া ঘরে বসে থাকতে পারব না। হয় দল কোনও সিদ্ধান্ত নিক, নয়তো রাজনীতি থেকে সরে যাব।

৫৪ বছর বাম শাসনের অবসান, পত পত করে উড়ল জোড়াফুলের পতাকা

দিলীপের এই মন্তব্যের পরই জলঘোলা আরও বাড়তে থাকে বিজেপির অন্দরে। প্রশ্ন উঠে যায় শুভেন্দু-সুকান্ত জুটির নেতৃত্ব নিয়ে। আবার ভোট বিপর্যয়ের পর একাধিক সাংসদও নাম না করে আঙুল তুলেছিলেন শুভেন্দুর দিকে। তখন চাপে পড়ে সংগঠনের বিষয়ে তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নেন না বলেও সাফাই গেয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিকে কর্মসমিতির বৈঠকের আগে দলের মধ্যে আদি-নব্য সংঘাত নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এরকম কোনও ব্যপার নেই। যাঁরা পদে নেই তাঁরা এসব করছেন। পদ তো সবাই পাবে না। আজ আমি রাজ্য সভাপতি আছি, কাল অন্য কেউ পদ পাবে, এটাই তো স্বাভাবিক।” তবে মুখে যাই বলুক না কেন দলের ভেতরের অন্তর্দ্বন্দে প্রকাশ্যে আসায় মুখ পুড়েছে গেরুয়া শিবিরের, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।