প্রবেশমূল্য বন্ধে সুন্দরবনে শঙ্কার মেঘ

সুন্দরবন পর্যটনে প্রত্যেকদিন ভিড় করেন হাজারো মানুষ। পাখিরালয়, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দর্শন পেতে আসেন পর্যটকরা। এতদিন এই পর্যটনের জন্য দিতে হত প্রবেশমূল্য। সেই প্রবেশমূল্য খরচ করা হত সুন্দরবনের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে রাজ্যের জঙ্গল গুলি থেকে প্রবেশমূল্য নেওয়া যাবে না। এই সিদ্ধান্তে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আধিকারিক দের কপালে। কোথা থেকে আসবে এতো টাকা।

Advertisements

পর্যটকদের থেকে পাওয়া টাকার ৪০ শতাংশ বন দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হত। আর তাতেই হত পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন। এই সিদ্ধান্তের ফলে, বন দপ্তরের কর্তৃপক্ষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে এক নতুন চিন্তা। তাদের উদ্বেগ, যদি পর্যটন থেকে আয় বন্ধ হয়, তাহলে এই বিপুল বনাঞ্চল এবং তার বাস্তুতন্ত্রের সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল কোথা থেকে আসবে? সুন্দরবন এলাকায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, প্রতিবন্ধকতা নির্মূল এবং নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যে অর্থের প্রয়োজন, তা কতটুকু পূর্ণ হবে, সে বিষয়ে কিছুটা শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্পে ৪০ টি বন পরিচালন কমিটি আছে। আধিকারিকদের একাংশের মতে বছরে গড়ে প্রায় ১০ লক্ষ্য টাকা ব্যায় করা হয় প্রত্যেক কমিটিতে। সেই টাকার ৪০ শতাংশ খরচ হতো ব্যাঘ্রপ্রকল্পে আর বাকি ৬০ শতাংশ খরচ হত এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে। যেটি নির্মাণ থেকে শুরু করে ম্যানগ্রোভ রোপন পুরোটাই হতো এই অর্থমূল্যের উপর ভিত্তি করে। আধিকারিকরা উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন যদি পর্যটন থেকে আয় বন্ধ হয়, তাহলে এই বিপুল বনাঞ্চল এবং তার বাস্তুতন্ত্রের সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল কোথা থেকে আসবে? সুন্দরবন এলাকায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, প্রতিবন্ধকতা নির্মূল এবং নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যে অর্থের প্রয়োজন, তা কতটুকু পূর্ণ হবে, সে বিষয়ে কিছুটা শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

Advertisements

একজন আধিকারিক সরাসরি বলেছেন আগে পর্যটকদের কাছ থেকে ১৮০ টাকা করে প্রবেশমূল্য নেওয়া হতো যার ৪০ শতাংশ বন পরিচালন কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হত, এখন তা বন্ধ হয়ে গেছে। এমত অবস্থায় জঙ্গলের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তায় আধিকারিকরা। প্রবেশমূল্য না থাকায় আরো অনেক পর্যটক আসবেন সুন্দরবনে। তাতে সুরক্ষা আরো বাড়াতে হবে কিন্তু টাকা না পেলে নিরাপত্তা রক্ষীদের ও পাওয়া যাবে না, বিকল্প পেশায় নিযুক্ত কর্মীরা পেটের দায়ে আবার জঙ্গলের পথে পা বাড়াবেন, তাতে বিপদ বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি তরফ থেকে কি সিদ্ধান্ত হয় সেটাই এখন দেখার।