কয়লা পাচারকাণ্ডে একাধিকবার তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) তলব করে ইডি। বারবার কলকাতা ছেড়ে দিল্লিতে কেন তলব করা হচ্ছে এই প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল ইডিকে।
ইডিকে প্রশ্ন করা হয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে সমস্যা কোথায়? কেন বারবার দিল্লিতে তলব করা হচ্ছে? চাপে পড়ে উত্তর দিতে সময় চাইল ইডি। পরবর্তী শুনানির দিন ১৭ মে।
একাধিকবার কয়লা পাচারকাণ্ডে একাধিকবার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যকে তলব করে ইডি। রুজিরার বিরুদ্ধে জারি হয়েছে জামিন যোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা। ফলে যে কোনও সময় গ্রেফতার হতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী। অভিযোগ বারবার হাজিরা এড়িয়ে গিয়ে মামলাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন তিনি।
দুই বার দিল্লিতে ইডির ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের হাজিরার মুখে পড়তে হয় অভিষেককে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এবং বাচ্ছাদেরকে ছেড়ে হাজিপা দেওয়া সম্ভব নয় একথা বলে বারবার হাজিরা এড়িয়ে গেছেন রুজিরা। দু’জনের তরফে প্রশ্ন ছিল কলকাতায় ইডির অফিস থাকা সত্ত্বেও কেন সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, কয়লা পাচারকাণ্ডে বহু কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এই অভিযোগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে তলব করে ইডি। কয়লা কেলেঙ্কারিতে অভিষেককে জেরা করতে চেয়ে অভিষেক ও রুজিরার কাছে নোটিস পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে তলব করা হয়।
অন্যদিকে, অভিষেক,রুজিরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জেরা কলকাতায় করার জন্য আবেদন জানান। পরবর্তীতে সেই আবেদন দিল্লি হাইকোর্টে খারিজও হয়ে যায়। তারপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক এবং রুজিরা।
অভিষেকের কলকাতার বাড়ির ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়ে কেন দিল্লিতে তলব করা হচ্ছে? অভিষেক রুজিরা সবর্দা তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। যে মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ, সেই মামলায় অভিষেক রুজিরা অভিযুক্ত নাকি সাক্ষী? প্রয়োজন হলে অভিষেকের কলকাতার বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুন। আদালতে অভিষেকের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বাল।