২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে কে শেষ হাসি হাসবে তা নিয়ে বাংলায় বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর (Bangla Pokkho)। নির্বাচনী অস্ত্র হিসেবে এখন বাংলায় সবচেয়ে আলোচ্য বিষয়বস্তু ভাষা এবং ভাষার অধিকার। অনেকদিন ধরেই বাংলার বাইরে বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলিতে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের নিগ্রহ নিয়ে সরব রাজ্যের সরকার এবং বিরোধীরা।
তার সঙ্গেই সরব হয়েছে বাংলা ও বাঙালির অধিকারের জন্য লড়াইয়ে নামা বাংলাপক্ষ। আবার তার সঙ্গেই তাল মিলিয়ে চলছে তৃণমূলের ভাষা আন্দোলন। আজ বিধানসভার দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন তিনি বাংলাকেও সম্মান করেন আবার রাষ্ট্র ভাষাতে ও কথা বলেন। আর এই কথাতেই আবার চটেছে বাংলাপক্ষ।
বাংলাপক্ষের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন আজ এই কথা উচ্চারণ করে মুখ্যমন্ত্রী বাঙালিদের অসম্মান করেছেন এবং প্রকারান্তরে বিজেপি এবং কংগ্রেসের বাংলা বিরোধী সাম্রাজ্যবাদকেই প্রশ্রয় দিয়েছেন।
গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ভারতের সংবিধানে “রাষ্ট্রভাষা” বলে কোনও ধারণা নেই। তিনি বলেন, “‘রাষ্ট্রভাষা’ একটি ভারত-বিরোধী কথা। ভারত কোনও একটি ভাষার ভিত্তিতে গড়া রাষ্ট্র নয় প্রত্যেক জাতির মাতৃভাষার ঐক্যবদ্ধ দেশ ভারত। তাই ভারতে কোনও ‘রাষ্ট্রভাষা’ নেই, তবে ভাষাভিত্তিক রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে রাজ্যভাষা রয়েছে।” যেমন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যভাষা বাংলা।
তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যখন ‘রাষ্ট্রভাষা’ বলেন, তখন তিনি অর্জুন সিং, জীতেন তেওয়ারি, সন্তোষ পাঠক, বিবেক গুপ্তা, জাভেদ খান, ববি হাকিম ও রাকেশ সিং-এর ভাষার প্রতি সমর্থন জানান। গর্গ আরও বলেছেন এই ব্যক্তিদের সামনে আত্মসমর্পণ করে মমতা WBCS-এ বাংলা বাধ্যতামূলক বাতিল করে হিন্দি ও উর্দু ঢুকিয়েছেন।”
গর্গ আরও স্মরণ করিয়ে দেন ২০১৮ সালের একটি ঘটনার কথা। তিনি বলেন, “২০১৮ সালে ‘রাষ্ট্রীয় বিহারী মঞ্চ’-এর একটি সভায় তৃণমূলের তৎকালীন নেতা অর্জুন সিং বলেছিলেন, তৃণমূল জিতলে হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করা হবে। তখন মুখ্যমন্ত্রী এর প্রতিবাদ করেননি।”
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য এবং বাংলাপক্ষের এই প্রতিবাদের সমালোচনা করেছেন রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে নেটিজনরা। অনেকেই বলেছেন মমতা এখন শ্যাম এবং কূল দুই রাখবার চেষ্টা করছেন।
আবার অনেকে সরাসরি বাংলাপক্ষকে সমর্থন করে বলেছেন ভাষা আন্দোলন শুধু মাত্র ভাওয়াতাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। ভোট ফুরোলেই তখন আবার অন্য সুরে গান গাইবেন মমতা। এখন পশ্চিমবঙ্গে ভোটের আবহ।
দেশের অন্যতম টেক-হাব গুরগাঁও কেন কাঁদে বর্ষায়?
এই আবহের উত্তাপে সমস্ত দল ই তাদের হাত সেঁকে নিতে চাইছে। সেখানে তৃণমূল কি করে বাদ পড়ে তাই ভোট ব্যাঙ্ক থেকে যেন অবাঙালি ভোট কেটে না যায় তাই তিনি দু নৌকোয় পা দিয়ে চলার চেষ্টা করছেন এমন ও মন্তব্য করেছেন অনেকে।