Lakshmir Bhandar: ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ নিয়ে বিরাট ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ (Lakshmir Bhandar)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), লোকসভা ভোটের প্রচারে সকলের মুখেই ঘুরে ফিরে…

maniktala assembly by-election 2024 tmc candidate supti pandey mamata banerjees decision, মানিকতলা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সুপ্তি পাণ্ডে

‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ (Lakshmir Bhandar)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), লোকসভা ভোটের প্রচারে সকলের মুখেই ঘুরে ফিরে আসছে এই প্রকল্পের কথা। জনসভায় গিয়ে এই প্রকল্পের সাফল্যের কথা তুলে ধরছেন মমতা-অভিষেক। এপ্রিলের শুরুতে কোচবিহারের এক বিজেপি নেত্রী বলেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। সেই মন্তব্য তুমুল জল্পনার শুরু হয়। যদিও মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং জানিয়ে দেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প বন্ধ হবে না।

প্রায় প্রতিদিনই লোকসভা ভোটের প্রচারের জেলায় জেলায় গিয়ে মমতা-অভিষেক বলছেন, কোচবিহারের বিজেপি নেত্রী যাই বলুন না কেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প কোনওদিন বন্ধ হবে না। এরই মধ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বিরাট মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শুক্রবার ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হবে না। কেউ চাইলেও এই প্রকল্প বন্ধ করতে পারবে না।

   

এদিনের সভা থেকে মমতা বলেন, আগামী দিন লক্ষ্মীর ভান্ডারটা, যতদিন বাঁচবেন বিধবা ভাতার জন্য ছুটে বেড়াতে হবে না। আর বিধবা কাউকে হওয়ারও দরকার নেই। সবাই সারা জীবন সধবা থাকুন, আমি চাই। যতদিন বাঁচবেন, ততদিন লক্ষ্মীর ভান্ডার পাবেন। কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। এনআরসি, সিএএ ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, যদি এনআরসি, সিএএ না চান, বিজেপিকে ভোট দেবেন না। বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে।

Dengue: হু হু করে ছড়াচ্ছে ডেঙ্গি, হাই অ্যালার্ট জারি করল পুরসভা

প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম লক্ষ্মীর ভান্ডার। বাড়ির মহিলাদের হাতখরচের টাকা জোগানের জন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি পরিবারের মহিলাদের জন্য সরকারের তরফে মাসিক একটি ভাতা দেওয়া হয়। প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে পান জেলারেল ক্যাটাগরির মহিলারা। আর তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা মাসে ১২০০ টাকা করে পান।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তেহারে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে তৃণমূল। ভোটে জেতার কয়েক মাসের মধ্যে এই প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালের ১৬ অগস্ট থেকে চালু হয়েছিল এই প্রকল্প। ২৫ বছর বয়স থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হন। যথাযথ ভাবে আবেদন করলে একই পরিবারের একাধিক মহিলা এই প্রকল্পে মাসিক ভাতা পেতে পারেন।

Calcutta High Court: সন্দেশখালির মাম্পির জামিন, ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের