গলার কাঁটা সিদ্দিকুল্লা! মন্ত্রীমশাই আগেই গরম চোখ দেখিয়ে বলে রেখেছেন তেমন প্রয়োজন হলে দল ছাড়তে পারি। দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে নিজ এলাকা মন্তেশ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী। সেই ঘটনার রেশ ধরে পূর্ব বর্ধমান জেলায় বারবার তৃণমূল বিব্রত। মন্ত্রিসভার সদস্যর উপর হামলার জেরে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিড়ম্বিত। সেই জেলাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা।
মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় সরকারি সফর মুখ্যমন্ত্রীর। জেলা শহর বর্ধমানে জনসভা করবেন তিনি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার। এই সফরে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা ও সহায়তাও বিতরণ করা হবে।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হল, জেলার উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দেওয়া এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় মন্তেশ্বরের বিধায়ক ও মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর থাকা না থাকার প্রশ্নে তৃণমূলের অন্দরে অস্বস্তি আছে। তবে তিনি থাকবেনই এটাই ধরে নিচ্ছেন অনেকেই। জানা যাচ্ছে, সভা থেকেই দলীয় নেতা কর্মীদের কড়া নির্দেশ দেবেন মমতা।
রাজনৈতিক বিশ্নেষকরা বলছেন, মন্তেশ্বরের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সংখ্যালঘু ভোট রাজনীতির কেন্দ্রে থাকেন। তাকে চটাতে নারাজ মমতা। তবে তিনি মন্ত্রীকেও বার্তা দেবেন বলে তৃণমূলের একাংশ নেতা মনে করছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে জেলা প্রশাসনিক মহলে তৎপরতা তুঙ্গে। জেলাশাসক আয়েশা রানি, জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস সভাস্থল বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল স্কুলের মাঠ পরিদর্শন করেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সভা শেষে মুখ্যমন্ত্রী জি টি রোড ধরে পুলিশ লাইন পর্যন্ত পদযাত্রা করতে পারেন।