পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বুধবার নির্বাচন কমিশনের দিল্লির কার্যালয়ে হাজির হয়েছেন(Chief Secretary)। ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগে জড়িত পাঁচজন দুর্নীতিগ্রস্ত নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) তাঁকে তলব করেছিল। এই ঘটনা রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে চলতে থাকা উত্তেজনাকে আরও তীব্র করেছে।
মনোজ পন্থ বুধবার কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন এবং নির্ধারিত সময়ে কমিশনের সামনে হাজির হন। এই ঘটনা রাজ্যের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
নির্বাচন কমিশন গত ৫ আগস্ট মনোজ পন্থকে নির্দেশ দিয়েছিল, দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (এইআরও), দুই ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও) এবং একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে সাসপেন্ড এবং এফআইআর দায়ের করতে।
কিন্তু রাজ্য সরকার কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পাল্টা চিঠি দিয়েছিল এই মর্মে যে নির্বাচন কমিশন অযথা কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। তারসাথে সরকার রাজ্যের অভ্যন্তরেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তাতেই চোটে যায় নির্বাচন কমিশন। ডিজিটাল প্রমান দেওয়া সত্ত্বেও কেন রাজ্য ব্যবস্থা মা নিয়ে পাল্টা চিঠি পাঠাল সেই কারণেই মুখ্য সচিবকে তড়িঘড়ি তলব নির্বাচন কমিশনের।
এই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ডায়মন্ড হারবার ও রায়বরেলির ভোটার তালিকায় অবৈধভাবে নাম যুক্ত করার অভিযোগ উঠেছিল। কমিশনের মতে, এই কারচুপি তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে ভোটার তালিকা তৈরির উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। তবে, রাজ্য সরকার এই নির্দেশ পালন না করায় কমিশন ক্ষুব্ধ হয় এবং মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে তলব করে।
‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ভিক্ষে ছাড়া কিছু নয়’, কটাক্ষ মিঠুনের, পাল্টা তৃণমূল
নির্ধারিত সময়ের আগেই মুখ্য সচিব পৌঁছে গিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের দফতরে এখন এটাই দেখার বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কমিশনের তরফে। তারা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দাবি শুনবে নাকি তড়িঘড়ি অ্যাকশন নিতে বলবে কমিশনের তরফ থেকে তা বৈঠক শেষেই জানা যাবে।