দিঘা সমুদ্রতট, বহুদিন ধরেই রাজ্যবাসীর মধ্যে জনপ্রিয় গন্তব্য। তবে এবার মুখ্যমন্ত্রীর সফরের (Mamata Banerjee in Digha) প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দিঘার নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দির(Mamata Banerjee in Digha) পরিদর্শন করা। এই সফরে তাঁর আরও বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে, তবে প্রধানত এই মন্দির নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখতে গিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার দুপুরে হেলিকপ্টার নিয়ে দিঘা হেলিপ্যাড ময়দানে এসে পৌঁছান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা, যারা মুখ্যমন্ত্রীর আগমনকে(Mamata Banerjee in Digha) কেন্দ্র করে উৎসাহিত ছিলেন। তাঁর আগমনে এক ধরনের উত্সবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। দিঘা হেলিপ্যাড এলাকায় ভিড় জমেছিল জনতার। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পীযূষ পণ্ডা, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশ গিরি এবং অন্যান্য দলীয় নেতারা। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে অক্ষয় তৃতীয়ায়৷
হেলিকপ্টার থেকে নেমে সরাসরি জনতার কাছে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনতার মধ্যে তিনি একের পর এক মানুষদের সঙ্গে হাত মেলান এবং কিছু সময় তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। এটি ছিল এক ধরনের জনগণের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মুহূর্ত, যা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে আরো বেশি উৎসাহ ও উদ্দীপনা তৈরি করেছিল। তাঁর উপস্থিতিতে দিঘা এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়ালেও, মুখ্যমন্ত্রীর শাসন ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়েছিল।
এর পর মুখ্যমন্ত্রী সোজা চলে যান ওল্ড দিঘার অতিথিশালায়, যেখানে প্রশাসনিক বৈঠক হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুরের এই সফরের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য শুধু মন্দির পরিদর্শন নয়, বরং এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি, সরকারি প্রকল্পের পরিস্থিতি, এবং প্রশাসনিক পর্যায়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া। এই সফরের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শাসক দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ আরও দৃঢ় করতে চেয়েছেন এবং তাদের মাঝে সরকারের সাফল্য ও প্রকল্পের ফলস্বরূপ কিভাবে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা হচ্ছে, সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে চেয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী দিঘায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সফর এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পর্যায়ে চলে এসেছে। এর আগে, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের নির্মাণ কাজও রাজ্য সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম। মন্দিরটি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে, আর এটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও বড় ভূমিকা রাখবে।
এই সফরের পর, মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি, উন্নয়ন এবং আগামী দিনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সরকার এই ধরনের সফরের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে এবং তাঁদের আশ্বাস দিচ্ছে যে সরকার সবসময় জনগণের কল্যাণে কাজ করছে।
এই সফরকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনাও তৈরি হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও প্রমাণ করতে চাইছেন যে, তৃণমূল কংগ্রেস জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করছে, এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।