আজ চন্দননগরে (Chandannagar) অনুষ্ঠিত হবে জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jaggadhatri Puja) ঐতিহ্যবাহী নিরঞ্জন শোভাযাত্রা (Immersion procession) যেখানে শহরের ৭৯টি পুজো কমিটি অংশগ্রহণ করবে। এই শোভাযাত্রাটি প্রতিবছরই বিপুল উৎসাহ আর আবেগের সঙ্গে পালিত হয়। শহরের প্রতিটি কোণে শোভাযাত্রা দেখা যায়, যেখানে পবিত্র শোভাযাত্রায় মেতে ওঠে স্থানীয় বাসিন্দারা। চন্দননগরের এই ঐতিহ্য শুধু পশ্চিমবঙ্গের নয়, সারা দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ আচার হয়ে উঠেছে। দর্শকদের ভিড়ও প্রতিবারের মতো এ বছরেও ব্যাপক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৭টি ঘাটে হবে প্রতিমা বিসর্জনঃ
এ বছর চন্দননগরের ৭টি ঘাট নিরঞ্জন শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে শহরের পুজো কমিটি গুলি তাদের প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আসবে। এই ঘাটগুলি চন্দননগরের নানা অংশে বিস্তৃত, এবং প্রতিটি ঘাটে ভিড় জমবে। প্রতিমা বিসর্জনের সময় সাধারণত রাস্তার দু’পাশে মানুষের ঢল নামে। ঐতিহ্য অনুযায়ী, নিরঞ্জনের শোভাযাত্রাটি একটি নির্দিষ্ট পথে হয়, যা শহরের প্রধান রাস্তা দিয়ে যায়। সারা দিন ব্যাপী উৎসবের পর, রাতের শেষ ভাগে বিসর্জন সম্পন্ন হয়।
প্রশাসনের নতুন নির্দেশনা: ডিজে ও আতশবাজি নিষিদ্ধ:
এবার প্রশাসন নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে কিছু নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। বিশেষভাবে, ডিজে বা সাউন্ডবক্স বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যাতে শব্দদূষণ না হয় এবং শহরের পরিবেশ শান্ত থাকে। এছাড়া, আতশবাজি ফাটানোও পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শোভাযাত্রার সময় কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিয়েছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এই নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
চন্দননগর শোভাযাত্রা: দর্শকদের ঢলঃ
চন্দননগরের *নিরঞ্জন শোভাযাত্রা* শুধু পশ্চিমবঙ্গের নয়, সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসে। *পুণ্যার্থীরা, **পর্যটকরা, এবং বিভিন্ন অঞ্চলের উৎসবপ্রেমীরা এই শোভাযাত্রা দেখতে চন্দননগরে হাজির হন। বিশেষ করে, চন্দননগরের সেই ঐতিহ্যবাহী **শোভাযাত্রার রাস্তা* যে কোনো উৎসবপ্রেমীর কাছে এক বিশেষ আবেদন রাখে। রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ এই দৃশ্য উপভোগ করে। এই শোভাযাত্রা শুধু ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, একটি *সমাজিক মিলনমেলা* হিসেবেও পরিচিত।
চন্দননগরের শোভাযাত্রা শুধু একটি উৎসব নয়, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ বছরও সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রশাসন, পুজো কমিটি, এবং সাধারণ মানুষ সবাই মিলিতভাবে শোভাযাত্রাটি সফল করতে কাজ করবে।