ধান কেনার দালাল চক্র রুখতে, ক্রয়কেন্দ্রে সিসিটিভির নজরদারি

মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নির্দেশে, সরকার চাষিদের ধান বিক্রির (Rice Purchase) প্রক্রিয়ায় দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে আরও শক্ত পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। তিনি সতর্ক করেছেন যে, ধান…

Nabanna CCTV monitoring cell

মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নির্দেশে, সরকার চাষিদের ধান বিক্রির (Rice Purchase) প্রক্রিয়ায় দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে আরও শক্ত পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। তিনি সতর্ক করেছেন যে, ধান ক্রয়কেন্দ্রগুলিতে (rice purchase centers) দালালরা (middlemen) যাতে কোনোভাবেই অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য সেগুলিকে সিসিটিভির আওতায় (CCTV surveillance) আনা এবং প্রতিটি ক্রয়কেন্দ্রে নিয়মিত পরিদর্শন করা হবে। মুখ্যসচিবের বক্তব্য, “প্রতিটি ক্রয়কেন্দ্রে প্রশাসন এবং পুলিশ সুপারদের মনিটরিং থাকতে হবে, যাতে কোনও অনিয়মের সুযোগ না থাকে।”

মুখ্যসচিব পন্থ বলেন, কৃষকরা যেন সরকারি ক্রয়কেন্দ্র থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রি করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে ক্রয়কেন্দ্রগুলির কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল ও প্রশিক্ষিত হতে হবে। ‘পারচেজ অফিসার’দের দক্ষতা এবং দায়বদ্ধতা বাড়ানোর জন্য তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করার ওপরও তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন। এর ফলে, চাষিরা যাতে সঠিক মূল্য এবং পরিমাণে তাদের ধান বিক্রি করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা হবে।

   

এছাড়া, কৃষকদের অভিযোগ এবং সমস্যা সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, তারা নিয়মিতভাবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। চাষিদের মধ্যে যদি কোনও ধরনের অসন্তোষ বা অভিযোগ থাকে, তা দ্রুত সমাধান করার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। মুখ্যসচিব পন্থ চাষিদের প্রতি ক্ষতিকর কোনো অসৎ কার্যকলাপ যাতে না হয়, সেদিকে নজর রাখার জন্য খাদ্য দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মুর্শিদাবাদের রায়দিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের অভিযোগের পর, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিধায়ক জানান, সরকারি ক্রয়কেন্দ্রে কুইন্টাল প্রতি পাঁচ কিলো অতিরিক্ত ধান নেওয়া হচ্ছে, যা চাষিদের জন্য বড় ক্ষতি হতে পারে। এই অভিযোগের পর, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জেলা প্রশাসন এবং খাদ্য দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আর্দ্রতা ১৭ শতাংশ পর্যন্ত থাকা ধানই সরকার গ্রহণ করে। এই ধানই চাষিদের থেকে কেনা হয় এবং তার বেশি আর্দ্রতা থাকলে ধান গ্রহণ করা হয় না। তবে, ধানের সঙ্গে থাকা কুঁড়ো ও নোংড়া বাছাই করার জন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকার কারণে কিছু ক্রয়কেন্দ্র অতিরিক্ত ধান নিতে পারে। এই অনিয়ম যাতে বন্ধ হয়, সে বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে মুখ্যসচিব সতর্ক করেছেন।

মুখ্যসচিবের এই পদক্ষেপে চাষিরা আশাবাদী, কারণ এর মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধান হতে পারে এবং সরকারের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রি করতে পারবেন।