ভোট পরবর্তী হিংসার (post-poll violence) ঘটনায় নতুন করে তৃণমূল নেতাদের নোটিশ পাঠাল সিবিআই (CBI)। সেই তালিকায় নাম রয়েছে ব্লক সভাপতি আবু তাহের, শেখ খুশনবি সহ একাধিক জনের নাম। নোটিশ ঘিরে নন্দীগ্রামে (Nandigram) রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চিল্লাগ্রামে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতির হত্যা মামলায় নেতাদের ফাঁসানো হয়েছে। এর নেপথ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রয়েছেন বলে দাবি করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে এপিসেন্টার হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম৷ কারণ, মুখোমুখি লড়াই ছিল তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। অথচ নন্দীগ্রামের আন্দোলনে তাঁরা একই মঞ্চে বাম সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। ফলাফলে জয় হয় শুভেন্দুর। তারপর থেকেই নন্দীগ্রাম সহ রাজ্যজুড়ে চলে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা। অভিযোগের তীর শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
তৃণমূলের বক্তব্য, এসব করে আটকানো যাবে না। প্রয়োজন পড়লে সুপ্রিম কোর্ট অবধি যেতে রাজি বলে দাবী করেন তিনি। বহু তৃণমূল কর্মী আজ জেল খাটছে।
এর আগে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য এজেন্ট শেখ সুফিয়ানকে তলব করে সিবিআই। পরে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে সাময়িক স্বস্তি পান তিনি। এবার নতুন করে নেতাদের নাম জড়ানোয় অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের।