কলকাতা: বাংলাদেশী সন্দেহে পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant workers) ভিনরাজ্যে ধরপাকড় ও বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ ইস্যুতে কেন্দ্রের দাবি খারিজ করল হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে বীরভূমের গর্ভবতী সোনালি বেগম সহ দুই পরিবারের ছয়জনকে বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করায় কেন্দ্রকে এদিন কার্যত ভর্ৎসনা করে আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে সমাজমাধ্যমে আনন্দ প্রকাশ ঘাসফুল শিবিরের।
https://x.com/SamirulAITC/status/1971476059867509097
এক্সে (X) “সত্যমেব জয়তে” লিখে পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম (Samirul Islam) বিজেপিকে (BJP) তুলোধোনা করলেন। এক্সে তিনি লেখেন, “বীরভূমের গর্ভবতী সোনালি বেগম সহ দুটি পরিবারের ছয়জনকে বিজেপির বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করার প্রচেষ্টা মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটা শুধুমাত্র আমার জয় নয়। এটা বাংলার জয়, বিজেপির বাঙালি-বিরোধী, দরিদ্র-বিরোধী নীতির প্রতি একটি তিরস্কার।”
https://x.com/abhishekaitc/status/1971535651364557268
রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুলের পাশাপাশি এদিন রায় ঘোষণার পর বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এক্সের পোস্টে কার্যত হুংকার তুলে লেখেন, “বাংলার মানুষ জেনোফোবিয়া, অপমান, অথবা বাঙালি-বিরোধী রাজনীতি সহ্য করবে না। ২০২৬ সালের ভোটে বাংলার মানুষ এর জবাব দেবে,”।
সোনালি সহ ৬ জনকে বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করা হয়
গত ১৮ জুন দিল্লির রোহিণী এলাকা থেকে বীরভূমের অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বেগম, তার স্বামী দানিশ শেখ এবং তাঁদের আট বছরের সন্তান সাব্বিরকে গ্রেফতার করে “বাংলাদেশী” তকমা দিয়ে পুশব্যাক করা। বাংলাদেশে পৌঁছলে পরিযায়ী পরিবারটিকে গ্রেফতার করে সেখানকার পুলিশ। দিল্লিতে পরিচারিকার কাজ করতেন সোনালি। এরপর পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী কল্যাণ পরিষদের সাহায্যে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt) মামলা দায়ের করেন তাঁরা।
গ্রেফতার করে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বাংলাদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে কি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছিল সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল আদালত। অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখতে কমপক্ষে ৩০ দিন পরিবারটিকে দেশে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ ও নথি যাচাই কড়া উচিৎ ছিল বলে জানিয়েছিল আদালত। শুক্রবার FRRO (দিল্লি) কর্তৃক আটক ও নির্বাসন আদেশকে বেআইনি ঘোষণা করে পুশব্যাক করা সোনালি বেগম সহ ছয়জনকে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফেরানর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।