বিরোধীদের প্রতি ‘অতি সক্রিয়’ কেন পুলিশ? কড়া বার্তা হাইকোর্টের

বিরোধীদের প্রতি পুলিশের ‘অতি সক্রিয়’তা নিয়ে রাজ্যেকে কড়া বার্তা আদালতের। মঙ্গলবার বিজেপির তরফে করা একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।…

Calcutta-High-Court

বিরোধীদের প্রতি পুলিশের ‘অতি সক্রিয়’তা নিয়ে রাজ্যেকে কড়া বার্তা আদালতের। মঙ্গলবার বিজেপির তরফে করা একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

রাজ্য রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে রাজভবন। শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষই তাঁদের রাজনৈতি কর্মসূচি-ধর্ণা রাজভবন চত্বরেই পালন করে আসছে। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দলের ক্ষেত্রে বার বার ‘অতি সক্রিয়’ হয়ে উঠছে পুলিশ। সম্প্রতি ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘর ছাড়াদের নিয়ে শুভেন্দুর রাজভবন যাওয়া নিয়ে বিতর্ক বাঁধে।

   

 

আইন-শৃঙ্খলার কারণ দেখিয়ে গাড়ি থেকে নামতে দেওয়া হয়নি রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। তারপর আদালতের দ্বারস্থ হতে হয় তাঁকে। আদালতের নির্দেশে রাজভবনের অনুমতি নিয়েই শেষপর্যন্ত রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। আর এখানেই বিরোধীদের প্রতিই পুলিশ প্রশাসনের ‘অতি সক্রিয়তা’ কেন? এমন প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মঙ্গলবার তাঁর বেঞ্চে চলা একটি মামলার শুনানির প্রেক্ষিতে এমনটাই জানান তিনি। 

ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যে পুলিশের ডিজির দফতরে ধর্ণায় বসতে চেয়ে অনুমতি চেয়েছিলেন শুভেন্দু। স্বাভাবিকভাবে অনুমতি না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর নবান্ন ও ভবানীভবনে ডিজির দফতর রয়েছে। এই দুটোর কোনও একটিতে ধর্ণায় বসতে চেয়েছিলেন বিরোধী দল নেতা। সেখানেও আইন-শৃঙ্খলার অজুহাতে সেই আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়। এবার সেই ইস্যুতেই পুলিশি ‘সক্রিয়তা’র প্রশ্ন তুলে রাজ্যের শাসক দলকে বিঁধলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। গত বছর ৫ থেকে ১০ অক্টোবর কেন্দ্রের থেকে একশ দিনের টাকা আদায়ের দাবিতে রাজভবনের সামনে ধর্ণায় বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শাসক দলের কর্মসূচির সময় পুলিশের ‘অতি সক্রিয়’তা কেন দেখা যায় না? কিন্তু বিরোধীদের সময় পুলিশ আইন-শৃঙ্খলার কারণ দেখিয়ে কেন কর্মসূচিতে বাধা দেয়?” বিচারপতির এই প্রশ্ন শুনে বেকায়দায় পড়তে হয় রাজ্যের আইনজীবীকে।