‘শ্লীলতাহানি’ কাণ্ডে রাজভবনের স্বস্তি, বড় নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার

রাজভবনে অস্থায়ী মহিলাকর্মীকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। তার জেরে তোলপাড় পড়ে রাজ্য-রাজনীতি। ওই ঘটনায় রাজভবনের একাধিক কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়।…

Calcutta-High-Court

রাজভবনে অস্থায়ী মহিলাকর্মীকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। তার জেরে তোলপাড় পড়ে রাজ্য-রাজনীতি। ওই ঘটনায় রাজভবনের একাধিক কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। সেই মামলাতেই এবার তদন্তে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

২রা মে রাজভবনের অন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই প্রমাণ নষ্ট হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই নির্দেশে আপাতত স্বস্তি ফিরেছে রাজভবনে। ওএসডি-র বিরুদ্ধে পাঁচ দিন পর কেন অভিযোগ তোলা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে উচ্চ আদালত।

   

Suvendu Adhikari: মুখ পুড়ল মমতার পুলিশের! ভোটের মধ্যেই বড় জয় শুভেন্দুর

অভিযোগকারিণী রাজভবনের অস্থায়ী মহিলা কর্মী দাবি, তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল। তিনি আদৌ আটকেছিলেন কি না সেটা তদন্তের বিষয় বলে মনে করেন বিচারপতি। বিচারপতি সিনহা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তদন্তে স্থগিতাদেশ দিলে মূল তদন্ত প্রভাবিত হবে বলে মনে হয় না। আগামী ১৭ জুন রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে।

Kolkata Metro: এবার মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে কলকাতা মেট্রো, পরিষেবা শুরু আজ থেকেই

মামলাকারীর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার দাবি করেন, জোর করে ধরে রাখার ধারা কোনওভাবেই প্রযোজ্য নয়। ঘটনার ১৩ দিন পর অভিযোগ দায়ের হল কেন? সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। পুরো ঘটনা মামলাকারী জানেন বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা।

বিচারপতি জানিয়েছেন, কিছু শব্দ একটু অস্বাভাবিক লেগেছে। তাই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিচ্ছে আদালত। রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল কিশোর দত্তের কথায়, ‘অভিযোগ এলে, প্রাথমিকভাবে সেটা সত্যি ধরে নিয়ে ধারা যুক্ত করাই পুলিশের কর্তব্য। আদালতে এভাবে দ্রুত মামলা করার গুরুত্ব বোঝা যাচ্ছে না।’