সীমান্তে উত্তাপের মাঝে BSF কে জমিদান রাজ্যের। রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠকে জমি দেওয়ার অনুমোদন। সীমান্ত সুরক্ষায় BSF কে ০.৯ একর জমি দান করবে রাজ্য। প্রশাসন সূত্রের খবর, নদিয়ার করিমপুর সীমান্তে বর্ডার আউটপোস্ট করতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ রাজ্যের।
বাংলাদেশে গত বছর আগস্ট থেকে পরিস্থিতি অস্থির হয়ে আছে। বর্তমানে সীমান্তে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে কিছু সাধারণ মানুষের অনুপ্রবেশ যেমন হচ্ছে, তেমনই আবার অবস্থার সুযোগ নিয়ে জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত এবং অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্তদের একাংশ চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে নানা সমস্যা তৈরির চেষ্টা করছে। রাজ্য বিজেপি এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে, তারা বিএসএফকে সীমান্ত সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় জমি দেয়নি। যার ফলে রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে।
নদিয়া জেলা প্রশাসন ওই জমি অধিগ্রহণ করে বিএসএফের হাতে তা দ্রুত তুলে দেবে। এই জমি বিএসএফ তাদের সীমান্ত সুরক্ষার কার্যক্রম, বিশেষত কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন এবং আউটপোস্ট তৈরির জন্য ব্যবহার করবে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৪,৯৬০ কিলোমিটার। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত প্রায় ২,২০০ কিলোমিটার। এই বিশাল সীমান্তের মধ্যে ৫৯৬ কিলোমিটার সীমান্তে এখনও কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। এর অন্যতম প্রধান কারণ জমি সম্পর্কিত সমস্যা। বিএসএফ বারবার রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে, সীমান্ত সুরক্ষায় আরও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হলে জমি প্রয়োজন।
ইতিমধ্যে নদিয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ ও টুঙ্গি সীমান্তের কাছে কয়েকটি লোহার বাঙ্কার উদ্ধার হয়েছে। এরপর থেকেই বিএসএফ ও পুলিশ আরও সতর্ক হয়েছে। ওই এলাকায় কয়েক লক্ষ ফাইল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ (ফেনসিডিল) উদ্ধার হয়েছে। যা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অবৈধভাবে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টা চালানো হয়েছিল। এই পরিস্থিতির পর বিএসএফ আরও কড়া নজরদারি চালানোর জন্য রাজ্য সরকারের কাছে জমি বরাদ্দের অনুরোধ জানায়।
বিএসএফের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের জমি অনুমোদনের এই সিদ্ধান্ত এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। এই জমি শুধু নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য নয়, বরং সীমান্ত এলাকার সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রা ও নিরাপত্তা রক্ষায় সহায়ক হবে।