ট্রলি ব্যাগ থেকে উদ্ধার ব্যবসায়ীর মৃতদেহ, গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত, কী ভাবে খুন?

কলকাতা: কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রলি ব্যাগ থেকে উদ্ধার যুবকের দেহ৷ এই ঘটনার উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মৃত যুবকের নাম ভাগারাম দেবাসী৷ তিনি রাজস্থানের বাসিন্দা৷ কলকাতার বড়বাজারে…

short-samachar

কলকাতা: কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রলি ব্যাগ থেকে উদ্ধার যুবকের দেহ৷ এই ঘটনার উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মৃত যুবকের নাম ভাগারাম দেবাসী৷ তিনি রাজস্থানের বাসিন্দা৷ কলকাতার বড়বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘদিনের দেনার জেরে ভাগারামকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেন অভিযুক্ত করণ সিং ও কৃশপাল সিং। অভিযুক্ত দুই যুবকও রাজস্থানের বাসিন্দা। তাঁরা উত্তর কলকাতার গিরিশ পার্ক এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

   

পুলিশ সূত্রে খবর, ভাগারামের কাছ থেকে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা পেতেন অভিযুক্ত দুই যুবক। দীর্ঘদিন ধরে টাকা ফেরত না পাওয়ায় তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করেন করণ ও কৃশপাল। মঙ্গলবার ভাগারামকে গিরিশ পার্কের ভাড়াবাড়িতে ডেকে পাঠান তাঁরা। সেখানে কফির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তাঁকে অচৈতন্য করা হয়। এরপর শ্বাসরোধ করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে হত্যা করা হয়।

এর পর মৃতদেহটি নীল রঙের একটি ট্রলি ব্যাগে ভরে প্রথমে নাগেরবাজার এবং পরে অ্যাপ ক্যাব ভাড়া করে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিকল্পনা ছিল নির্জন জায়গায় ট্রলিটি ফেলে পালিয়ে যাওয়ার। তবে ক্যাব চালকের সন্দেহ এবং পুলিশের তৎপরতায় ধরা পড়ে যান অভিযুক্তরা।

ক্যাব চালক রাহুল অধিকারী জানান, যাত্রীদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে ট্রলি ব্যাগ খুলে সেলোটেপ মোড়া দেহ উদ্ধার করে। ট্রলির মধ্যে নগদ ৬৫ হাজার টাকা এবং রক্তমাখা অস্ত্রও পাওয়া যায়।

ঘটনাস্থল থেকে করণ সিংকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে কৃশপাল সিংকে মুক্তারামবাবু স্ট্রিট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, পরিকল্পনা করেই ভাগারামকে খুন করা হয়েছিল। অভিযুক্তদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।

এই ঘটনা ঘিরে উত্তর কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তদন্ত চলছে।