কাটিহার এক্সপ্রেসে (Katihar Express) মিলল (Found) রক্তাক্ত দেহ (Body),বালির (Bali) শিক্ষক (Teacher’s) খুনে (Murder) রহস্য। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ হাওড়া স্টেশনে কাটিহার এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবন্ধী কামরার বাঙ্ক থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত ব্যক্তি ৬০ বছর বয়সী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, যিনি বালি ঘোষপাড়ার বাসিন্দা এবং একজন তবলার শিক্ষক ছিলেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তার শরীরে তিনটি ছুরির আঘাত ছিল, যা থেকে স্পষ্ট হয় যে তাকে খুন করা হয়েছে।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কাটিহার থেকে তবলার তালিম দিতে গিয়েছিলেন। সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি বিহারের কাটিহার থেকে ট্রেনে চড়েন, এবং তার পরের কোনো সময়ে তিনি বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। মঙ্গলবার সকালে ট্রেনটি হাওড়া পৌঁছানোর পর প্রতিবন্ধী কামরার বাঙ্কে তাঁর রক্তাক্ত দেহ পাওয়া যায়। মৃতের কাছ থেকে কোনও পরিচয়পত্র বা টিকিট উদ্ধার হয়নি, ফলে প্রথমে তাঁর পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। তবে পরে, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পরিবার এসে দেহটি শনাক্ত করেন।
পুলিশের ধারণা, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় খুন হয়েছেন মালদহ বা তার আগের স্টেশনে, কারণ হাওড়ায় পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু ঘটে। তদন্তকারীরা মালদহ এবং আশপাশের স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছে, তবে এখনও খুনের কারণ বা সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করা যায়নি। এই হত্যাকাণ্ডের পরে, ট্রেনের যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে। ট্রেনের মধ্যে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবি উঠেছে।
রেল পুলিশ ইতিমধ্যেই বিহার রেল পুলিশকেও ঘটনাটি জানিয়ে দিয়েছে, যাতে তারা তদন্তে সাহায্য করতে পারে। বর্তমানে, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের খুনের তদন্ত চলমান রয়েছে, এবং পুলিশ আশা করছে দ্রুতই খুনের রহস্য উদঘাটিত হবে।