গুলশান কলোনিতে বিস্ফোরণ: তৃণমূলকে ‘মাফিয়া-মাস্তান-খুনিদের সরকার’ আখ্যা শুভেন্দুর

কলকাতা: ভর সন্ধ্যেবেলায় গুলি, বোমার আওয়াজে কেঁপে উঠল আনন্দপুর থানার অন্তর্গত কসবার গুলশান কলোনি। রাত ২ ট নাগাদ দুষ্কৃতিরা ফিরে এসে ফের একপ্রস্থ চালায়, বোমা…

গুলশান কলোনিতে বিস্ফোরণ: তৃণমূলকে ‘মাফিয়া-মাস্তান-খুনিদের সরকার’ আখ্যা শুভেন্দুর

কলকাতা: ভর সন্ধ্যেবেলায় গুলি, বোমার আওয়াজে কেঁপে উঠল আনন্দপুর থানার অন্তর্গত কসবার গুলশান কলোনি। রাত ২ ট নাগাদ দুষ্কৃতিরা ফিরে এসে ফের একপ্রস্থ চালায়, বোমা বিস্ফোরণে খান খান হয় রাতের নিস্তব্ধতা। বৃহস্পতিবার গুলশান কলোনির অটো স্ট্যান্ডের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে, বাইকে চড়ে একদল দুষ্কৃতি এসে পরপর গুলি চালাতে থাকে, ছোঁড়া হয় বোমা।

ভয়ে দোকানপাট বন্ধের তোড়জোড় শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র এলাকায়। সন্ধ্যায় বেশ কিছুক্ষণ তাণ্ডব করে চলে যায় তাঁরা। ফের মাঝরাতে কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের অনুগামীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতিরা, বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। কিন্তু প্রতিবার কলকাতার বুকে ‘মিনি বাংলাদেশ’ নামে পরিচিত গুলশান কলোনিই কেন? গতকালের ঘটনায় সমাজমাধ্যমে ফের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে একহাত নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)।

   

কি বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikary)?

শুক্রবার এক্স-এ তিনি লেখেন, “মা-মাটি-মানুষের সরকার এখন শুধু মাফিয়া-মাস্তান-মার্ডারারদের সরকারে পরিণত হয়েছে!” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের গুলশান কলোনিতে আশ্রয় দিয়ে অপরাধীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত করেছেন বলে তোপ দাগেন শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি বলেন, “কারা এই ভাবনাহীন বন্দুকবাজ? কি করে পায় এত সাহস? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের গুলশান কলোনির মতো জায়গায় নিরাপদে ঠাঁই দিয়েছে। এদের নাম বেআইনিভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে, দলে নিয়ে নিজেদের অপরাধের সাম্রাজ্য বিস্তার করছে, আর সাধারণ নাগরিকদের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেছে।”

Advertisements

বঙ্গে এসআইআরের প্রাক্কালে শাসক-বিরোধী তরজা এমনিতেই তুঙ্গে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এবং “দলের গুন্ডাদের” দৌরাত্ম্যেই কলকাতার বুকে একের পর এক এই ধরণের ঘটনা ঘটছে বলে বিরোধীদের। ঘটনায় পুলিশের ব্যর্থতার অভিযোগে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikary) কটাক্ষ, “সব জেনে শুনেও পুলিশ পরিস্থিতি আনতে কেন ব্যার্থ? কারণ খুব স্পষ্ট – শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আর সিন্ডিকেটের লড়াই পুলিশ আটকাতে গেলে পুলিশের শীর্ষকর্তাদের চেয়ার টলে যাবে।”

ঘটনার আসল কারণ কি?

আনন্দপুর থানার অন্তর্গত ই এম বাইপাসের ধারের ওই অঞ্চলে মূলত ভেরি এবং ফাঁকা জমি ছিল। কিন্তু বিগত কয়েক দশকে সেখানে সরকারি জমি দখল করে তৈরি হয়েছে একের পর এক বহুতল ভবন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত এলাকা দখলকে কেন্দ্র করেই তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ লেগে ওই অঞ্চলে। বৃহস্পতিবার সন্ধাতেও সরকারি জমির দখলদারি নিয়ে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেই সংঘর্ষ হয়।

“মা-মাটি-মানুষের সরকার এখন শুধু মাফিয়া-মাস্তান-মার্ডারারদের সরকারে পরিণত হয়েছে!” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের গুলশান কলোনিতে আশ্রয় দিয়ে অপরাধীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত করেছেন বলে তোপ দাগেন শুভেন্দু অধিকারী।