বাড়িতে ঢুকে মারধরে বিজেপির বুথ সভাপতিকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন (Moyna Murder)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে ময়না। বুধবার ১২ ঘন্টা বনধের ডাক দিয়ে রাস্তায় নেমেছে বিজেপি কর্মীরা। কোথাও পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসা। কোথাও আবার বিজেপি কর্মীদের সরিয়ে জনজীবন স্বাভাবিক করতে উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। প্রায় ১০০ টি জায়গা অবরুদ্ধ করার ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
সূত্রের খবর, সোমবার রাতে রাতে বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণের বাড়িতে উপস্থিত হয় দুষ্কৃতীরা। স্ত্রী ও পরিবারের সামনেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর ওই নেতাকে মোটরবাইকে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। রাস্তার মাঝে তাঁর মাথা থ্যাঁতালানো দেহ উদ্ধার হয়। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে মেরে খুন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। ঘটনার পর থেকেই জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় গেরুয়া শিবির।
মঙ্গলবার সকালে মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে দেখা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলকে তুলোধোনা করে বলেন, এটা শাসক দলের কাজ৷ কেন্দ্রের হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য সরব হন তিনি। একইসঙ্গে বক্তব্য, পুলিশ খুনিদের কাছ থেকে দেহ উদ্ধার করেছে। ১২ ঘন্টার বনধের ডাক দেন বিরোধী দলনেতা৷
ঘটনাকে ঘিরে বুধবার সকাল থেকেও উত্তেজনা একই রয়েছে। একাধিক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভে জড়াতে দেখা গেছে বিজেপি নেতা কর্মীদের৷ সকাল থেকে বন্ধ দোকানপাট। বন্ধ সফল করতে রাস্তায় নেমেছে বিজেপি। ময়নার অন্নপূর্ণা বাজারে বনধ সফল করতে বসেছে বিজেপির পিকেটিং। বাঁশ দিয়ে রাস্তা ঘিরে ফেলা হয়। পুলিশের গাড়িকেও যেতে বাধা দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রস্তুত পুলিশও। রাস্তায় রাস্তায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। মজুত রয়েছে জলকামানও। বলাইপণ্ডা বাজারে রাস্তায় মিছিল বিজেপির। দোকান বন্ধ রাখার বার্তা।