রাজনৈতিক সংঘাত অব্যাহত, এবার এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে। সূত্রের খবর অনুযায়ী হালিশহর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কর্মী কার্তিক কর কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। জানা যাচ্ছে কার্তিক বাবু এদিন তাস খেলছিলেন, হঠাৎই একদল দুষ্কৃতী এসে তাকে বেধড়ক মারধর করে। কার্তিকবাবুর স্ত্রী বলেছেন তিনি পালিয়ে একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে দুষ্কৃতীরা তাকে টেনে বের করে এনে মারধর করে। আপাতত তিনি জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছেন।
কার্তিক করের স্ত্রী শিপ্রাদেবীর অভিযোগ তার স্বামীকে দুষ্কৃতীরা খুন করতে এসেছিলো। তবে এই ঘটনা কোনো ব্যাক্তিগত শত্রুতা নাকি কোনো রাজনৈতিক সংঘাত তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি শিপ্রা দেবী। অভিযোগ করতে ছাড়েনি বিজেপি মহল, স্থানীয় বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং স্পষ্ট বলেছেন স্থানীয় বিধায়ক এবং পৌরসভার চেয়ারম্যান এই ঘটনায় মদত দিয়েছেন। তৃণমূল অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে এবং হালিশহরের তৃণমূল সভাপতি বলেছেন “আমরা হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।”
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে হালিশহর থানার পুলিশ। রাজনৈতিক সংঘর্ষের এই ধারা হালিশহরে নতুন নয়। এর আগে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যা এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এদিকে, বিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হলেও, পুলিশ উভয় পক্ষের বক্তব্য নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হালিশহর ও আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন সতর্ক রয়েছে যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হয় এবং এলাকায় শান্তি বজায় থাকে। রাজনৈতিক সংঘর্ষের এই প্রবণতা রোধে স্থানীয় নেতৃত্ব ও প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সকলের সহযোগিতায়ই কেবল হালিশহর ও উত্তর ২৪ পরগনার অন্যান্য এলাকায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা সম্ভব।