খেজুরিতে আবারও গেরুয়া ঝড়ে উড়ে গেল ঘাসফুল

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি (Khejuri) বিধানসভা কেন্দ্রে আবারও গেরুয়া ঝড়ে উড়ে গেছে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাসফুল। খেজুরি ২ নং ব্লকের সাতখণ্ড সাহেব নগর সমবায় কৃষি উন্নয়ন…

Khejuri BJP wins

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি (Khejuri) বিধানসভা কেন্দ্রে আবারও গেরুয়া ঝড়ে উড়ে গেছে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাসফুল। খেজুরি ২ নং ব্লকের সাতখণ্ড সাহেব নগর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড-এর পরিচালন সমিতির নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) রাষ্ট্রবাদী প্রার্থীরা ৯-০ ফলাফলে তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত করে জয়লাভ করেছেন।

এই জয়ের মাধ্যমে খেজুরিতে বিজেপির প্রভাব আরও শক্তিশালী হল, এবং তৃণমূলের রাজনৈতিক আধিপত্যে বড় ধরনের ধাক্কা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে । পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই নির্বাচনে রাষ্ট্রবাদী প্রার্থীদের জয়ের জন্য ভোটদাতা সমবায়ীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এবং নির্বাচিত সদস্যদের জাতীয়তাবাদী গৈরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছেন।

   

খেজুরি বিধানসভা কেন্দ্র, যা তপশীলি জাতির জন্য সংরক্ষিত, দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দু। এই কেন্দ্রটি খেজুরি-১ এবং খেজুরি-২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এবং ভগবানপুর-২ ব্লকের গড়বাড়ি-১ ও গড়বাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। অতীতে এই এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাব থাকলেও, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি এখানে ক্রমশ শক্তিশালী হয়েছে।

বিশেষ করে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি এই অঞ্চলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কঠোর লড়াই চালিয়ে আসছে। সাতখণ্ড সাহেব নগর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির এই নির্বাচনে বিজেপির নিরঙ্কুশ জয় তাদের রাজনৈতিক কৌশল এবং স্থানীয় সমর্থনের প্রমাণ।নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “খেজুরির জনগণ তৃণমূলের দুর্নীতি ও জুলুমের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে।

সাতখণ্ড সাহেব নগর সমবায় নির্বাচনে ৯-০ ফলাফল আমাদের রাষ্ট্রবাদী আদর্শের প্রতি মানুষের আস্থার প্রতিফলন। আমি সমস্ত ভোটদাতা সমবায়ী বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাই এবং নির্বাচিত সদস্যদের অভিনন্দন জানাই। আমরা জনগণের সেবায় কাজ করে যাব।” তিনি আরও বলেন, “এই জয় খেজুরির মানুষের জয়, যারা উন্নয়ন ও স্বচ্ছ শাসনের পক্ষে তাদের মত প্রকাশ করেছেন।”

Advertisements

তৃণমূল কংগ্রেস এই পরাজয়ের পর এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে, স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং স্থানীয় নেতৃত্বের জনসমর্থন হ্রাস এই পরাজয়ের অন্যতম কারণ। বিজেপির পক্ষে জনগণের সমর্থন বৃদ্ধির পেছনে শুভেন্দু অধিকারীর সক্রিয় ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

খেজুরি এলাকায় বিজেপির প্রচারে তিনি বারবার তৃণমূলের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন, যা স্থানীয় ভোটারদের মনে প্রভাব ফেলেছে।সাতখণ্ড সাহেব নগর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি গ্রামীণ অর্থনীতি ও কৃষকদের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই নির্বাচনে বিজেপির জয় এই সমবায়ের পরিচালনায় তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে, যা স্থানীয় কৃষি উন্নয়নে নতুন দিক নির্দেশ করতে পারে।

ডিজিটাল আস্থা গড়ে বিকশিত ভারতের পথে এগোনোর বার্তা COAI-এর

এই ফলাফল ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে খেজুরিতে বিজেপির রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।স্থানীয় বিশ্লেষকদের মতে, এই জয় বিজেপির জন্য একটি মাইলফলক। খেজুরির মতো তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতে এমন নিরঙ্কুশ জয় তাদের কৌশলগত সাফল্যের প্রমাণ। তবে, তৃণমূল এই পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে পাল্টা প্রচার শুরু করতে পারে, যা আগামী দিনে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে আরও তীব্র করবে।

আমাদের Google News এ ফলো করুন

২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।

Google News Follow on Google News