আশা ছিল লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections) ডায়মন্ড হারবার থেকে লড়বেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। মুসলিম ভোট ভাগাভাগিতে জিতবেন বিজেপি প্রার্থী। সেটা হয়নি। পদ্মের সব পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে। এবার ডায়মন্ড হারবার জয়ে নয়া কৌশল নিয়েছে বিজেপি। আবডালে থেকে জোড়াফুল উপরে ছক পদ্ম শিবিরের।
কি সেই কৌশল? বিজেপি সূত্রে খবর, ডায়মন্ড হারবারের একাধিক ডামি প্রার্থী দেবে বিজেপি। যাঁরা নির্দল হিসেবে লড়বেন। যাতে বুথে এজেন্ট দিতে সমস্যা না হয়। অভিজ্ঞ নেতাদেরই নির্দল প্রার্থীদের এজেন্ট হয়ে বুথে বসবেন। কাউন্টিংয়ের সময়েও শেষ পর্যন্ত থাকবেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক বিজেপি নেতার মতে, ‘‘ডায়মন্ড হারবারে আমাদের একাধিক ডামি প্রার্থী থাকবেন, তবে তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে। বিজেপিরডামি প্রার্থী সম্পর্কে তৃণমূল জানতে পারলে, ওই প্রার্থী এবং তাঁর পরিবারের উপর চড়াও হবে। তাই আমরা ডামি প্রার্থীর কোনও তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানানো হবে না।’’
শুধু ডায়মন্ড হারবার নয়। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক আসনে এই ছকে লড়াই করতে চাইছে পদ্ম শিবির। সংখ্যালঘু প্রধান এলাকায় বুথে এজেন্ট বসানোই বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। ভোটের দিন বুথ আগলে রাখতে তাই নির্দল প্রার্থীদের উপর ভরসা করতে চাইছে দল। দলের অভিজ্ঞ সৈনিকদেরই সেই গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে সরাসরি বিজেপি নয়, তাঁরা নির্দল প্রার্থীর এজেন্ট হয়ে বুথে বসবেন।
বসিরহাট, মথুরাপুর, উলুবেড়িয়া, জয়নগরের মতো কেন্দ্রে একাধিক নির্দল প্রার্থী হচ্ছেন। সবাই বিজেপির ডামি। তাঁদের এজেন্টও বসবে বুথে। এসব কেন্দ্র তো তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের দুই কেন্দ্রেও একাধিক ডামি প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। এর মধ্যে কাঁথিতে বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু। আর তমলুকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আরামবাগের মতো বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতেও থাকছে বিজেপির একাধিক এজেন্ট।