সমবায় নির্বাচনে তৃণমূল ও সিপিএমকে হারিয়ে সমস্ত আসনে জয় বিজেপির

Protests erupt within BJP over announcement of district committee in Bankura

মিলন পণ্ডা, খেজুরি: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরিতে কামারদা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালন কমিটির নির্বাচনে (Co-operative Polls) বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা সবকটি আসনে জয়লাভ করলেন। এই ত্রিমুখী নির্বাচনে সিপিএম ও তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদের হারিয়ে এককভাবে জয়ী হলেন গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীরা।

Advertisements

গত শুক্রবার এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খেজুরি বিধানসভা এলাকায় সকাল থেকেই উত্তেজনার পারদ ছিল চরমে। ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৫৫। ভোট গণনার পর দেখা যায় বিজেপি সমর্থিত ১২ জন প্রার্থীই জয়ী হয়েছেন। ফলাফল ঘোষণার পর বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা আবির উড়িয়ে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠেন।

জয়লাভের পর খেজুরি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক, বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তাপস দলাই, সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্বরা উপস্থিত থেকে বিজয় মিছিলে অংশ নেন।

বিজেপি নেতা তাপস দলাই বলেন, “এই সমবায় নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হলেও জয় আমাদের প্রত্যাশিতই ছিল। খেজুরিতে তৃণমূলের কোনো রাজনৈতিক অস্তিত্ব নেই। সিপিএম তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত করে বিজেপিকে আটকাতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটা ব্যর্থ হয়েছে। মানুষ আমাদের পাশে রয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল বিগত ১০ বছর ধরে কৃষকদের প্রাপ্য টাকা চুরি করেছে। এবার মানুষ তার জবাব দিয়েছে।”

তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “সিপিএম এখন অস্তিত্ব সংকটে। একসময়ের বেতাজ বাদশা হিমাংশু দাস এই ভোটে দাঁড়িয়েও হার মানতে বাধ্য হয়েছেন।”

Advertisements

অন্যদিকে, এই সমবায় ভোটে পরাজিত সিপিএম নেতা হিমাংশু দাস বিজেপির অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়ে বলেন, “আমি রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে নয়, সমবায়ের কাজে যুক্ত থাকায় প্রার্থী হয়েছিলাম। আমরা ৩২% ভোট পেয়েছি, বিজেপি ৩৭% এবং তৃণমূল পেয়েছে ২০% ভোট।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক নিজের প্রভাব খাটিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেছেন। বিধায়ক এবং সাংসদ, দু’জনই বিজেপির হওয়ার কারণে প্রশাসনিক সুবিধা নিয়েছে বিজেপি।”

তবে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জালাল উদ্দিন খাঁনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এই সমবায় নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপির দাবি, এই জয় খেজুরিতে তাদের রাজনৈতিক জমি আরও মজবুত করল।