দলের কথা বাইরে বলা যাবে না, অর্জুনের ‘ক্ষোভ’ নিয়ে কড়া বার্তা সুকান্তের

শুভেন্দুর বক্তব্যকে বুধবারই একরকম খারিজ করেছিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ আর নয়……’কর্মসমিতির বৈঠকে এমনটাই দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।…

Bjp West bengal

শুভেন্দুর বক্তব্যকে বুধবারই একরকম খারিজ করেছিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ আর নয়……’কর্মসমিতির বৈঠকে এমনটাই দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তবে তারপর তাঁর সেই বক্তব্যের সঙ্গে দলের ‘লাইন’ আলাদা বলে জানিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তারপরই বিস্তর জলঘোলা শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে।

ঘুম উড়ল বিজেপির! উত্তর প্রদেশ উপনির্বাচনে অখিলেশের হাত ধরল রাহুলের কংগ্রেস

   

অন্যদিকে, ঠাণ্ডা ঘরে বসে ভোট করানো যায় না, তারজন্য সংগঠন দরকার হয়। এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তারপর আরও জলঘোলা বাড়ে বিজেপির অন্দরে।

এবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নামেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বৃহস্পতিবার স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেন, দলের অন্দরের কথা কোনওভাবেই প্রকাশ্যে আনা যাবে না। দলের কথা দলের অন্দরেই বলতে হবে, মিডিয়াকে বলা উচিত নয়। দলের ক্ষোভ নিয়ে বলার জন্য জাতীয়স্তরে অনেক জায়গা রয়েছে। সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও রয়েছেন। সেই সমস্ত যা অভিযোগ তাঁদেরকেই বলা উচিত। সুকান্তের এই মন্তব্য যে অর্জুনকে ইঙ্গিত করে তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারওরই।

সংরক্ষণ বিল: পিছু হটল সিদ্দারামাইয়া সরকার, কী এই বিল? কেন এত বিতর্ক?

দলের অভ্যন্তরে ক্ষোভ নিয়ে গতকাল অর্জুনের মতোই সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন সৌমিত্র খাঁও। এদিন সুকান্তের এই মন্তব্য ওই দুই নেতার প্রতি সতর্কবার্তাই। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে, লোকসভা ভোটে গো-হারা হারের পরই অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয় বিজেপির অন্দরে। প্রচারের টাকা নয়ছয়, দলের নেতাদের পাল্টা দোষ চাপানোর লড়াইয়ে বেকায়দায় পড়তে হয় বিজেপিকে। দলের একাংশ হেভিওয়েট নেতাই মুখ খোলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। নিজের পছন্দের আসন না পাওয়ায় অনেক নেতাই আঙুল তুলেছেন শুভেন্দুদের দিকেই। যা নিয়ে যথেষ্ট বিড়ম্বণায় পড়তে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।