‘বাংলা-বাঙালি ইস্যু তৃণমূলকে দেওয়া বিজেপির পুরস্কার’: সুজন

বাংলা ও বাঙালি ইস্যু নিয়ে আজ উত্তাল বাংলা তথা ভারতবর্ষ (Sujan)। এই ইস্যুকেই হাতিয়ার করে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আক্রমণ শানাতে চাইছে তৃণমূল। তৃণমূল হোক বা…

Sujan accuses BJP

বাংলা ও বাঙালি ইস্যু নিয়ে আজ উত্তাল বাংলা তথা ভারতবর্ষ (Sujan)। এই ইস্যুকেই হাতিয়ার করে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আক্রমণ শানাতে চাইছে তৃণমূল। তৃণমূল হোক বা বিজেপি বরাবর ই ঠোঁট কাটা হিসেবে পরিচিত সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। এবার বাংলা- বাঙালি ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। সুজন বলেছেন বিজেপি এ রাজ্যে উন্নয়ন চায় না। বিজেপি এই রাজ্যের ক্ষমতাও চায় না।

তৃণমূলকে দিয়ে তারা তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সফল করতে চাইছে। মোট কথা সুজন বলতে চেয়েছেন বিজেপি যদি উন্নয়ন চাইত তাহলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান উন্নয়ন নিয়ে কথা বলত। এই ইস্যু গুলো উস্কে দিতে চাইত। কিন্তু না বাংলা এবং বাঙালি নিগ্রহের নাটক তৈরী করে আখেরে বিজেপি এই সমস্যা গুলো ধামাচাপা দিতে চাইছে।

   

আর সঙ্গে তৃণমূল ও এদের এই নাটকে ভুলে আছে সুতরাং বিজেপি তৃণমূলকে হাতিয়ার করে এই রাজ্যের উন্নয়ন স্তব্ধ করতে চায়। সুজন বলেছেন বিজেপি তৃণমূলকে এই বাংলা ভাষা ইস্যু পুরস্কার হিসেবে দিয়েছে যাতে এই নাটক করে সমস্ত দুর্নীতি এবং কৃতকর্ম মাটি চাপা দেওয়া যায়। বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তার বক্তব্যে স্পষ্ট বুঝিয়েছেন মানুষের রুটি রুজির লড়াই, শিক্ষার হাল হাকিকত এসব ধর্ত্যব্যের মধ্যেই আনে না সরকার।

শুধু মাত্র বিজেপির দেখানো মরীচিকার দিকে ছুটে যাচ্ছে শাসকদল। সুজনের বক্তব্যে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন বিজেপির ভাব মূর্তি কি ভালো না খারাপ তা নিয়ে তারা মাথা ঘামায় না, কেননা তৃণমূল তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সফল করতে বিশেষভাবে আগ্রহী। বিজেপি তৃণমূলের হাতে একটা ভালো খেলা তুলে দিয়েছে বলেও কটাক্ষ করেছেন এই সিপিএম নেতা।

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট বলেছেন এই বাংলা-বাঙালি ইস্যুকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া নাটকের মাধ্যমে জনগণের মৌলিক সমস্যাগুলোকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। তিনি জনগণের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, এই রাজনৈতিক নাটকের ফাঁদে পা না দিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হতে। তাঁর মতে, এই ইস্যুগুলোই বাংলার প্রকৃত উন্নয়নের পথে প্রধান বাধা।

Advertisements

তিনি সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, জনগণের রুটি-রুজির লড়াই এবং শিক্ষা-স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হোক।সুজন চক্রবর্তীর এই বক্তব্য বাংলার রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তাঁর মন্তব্য তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে একটি ‘নাটকীয় বোঝাপড়া’ রয়েছে বলে ইঙ্গিত দেয়।

Dilip Ghosh: হিন্দি বিতর্কে গর্জে উঠলেন দিলীপ, পাশে দিল্লি পুলিশ!

এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বাংলার জনগণকে সতর্ক করেছেন যে, বাংলা-বাঙালি ইস্যুর নামে যে নাটক চলছে, তা আসলে রাজ্যের উন্নয়নকে স্তব্ধ করার একটি চক্রান্ত। তবে কখনো বিজেপি দাবি করেছে বাম তৃণমূল জোট চলছে রাজ্যে আবার বামেরা দাবি করেছে বিজেপি তৃণমূলের হাত ধরে তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা সাজাচ্ছে। এর ভবিষ্যৎ প্রভাব কি তা হয়তো পরিষ্কার হয়ে যাবে আসন্ন বিধানসভা নর্বাচনের ফলের মাধ্যমে।