BJP: মমতার আমলে জঙ্গলরাজ চলছে, জানাল বিজেপি প্রতিনিধিরা

nabanna-protest-must-follow-police-guidelines-rules-calcutta-high-court

সম্প্রতি ঘটা বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় রাজ্যে। এই অভিযানে পুলিশের মারে আহত হন একাধিক দলীয় কর্মী। এই ঘটনার রিপোর্ট অবধি তলব করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এবার সেই ঘটনায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে উপস্থিত হল তথ্য অনুসন্ধান কমিটি।

Advertisements

এদিন আহত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। দেখা করেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের সঙ্গে। এদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
এদিন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের মধ্যে ছিলেন, বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর, সাংসদ ও প্রাক্তন আইএএস অপরাজিতা ষড়ঙ্গী, প্রাক্তন সাংসদ সুনীল জাখর ও বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সমীর ওঁরাও।

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজবর্ধন রাঠোর বলেন, বিজেপি নেতাদের তুমুল মারধর করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করছিল। সেই বিক্ষোভ আটকে দেওয়া হয়েছে। হামলা চালানো হয়েছে। একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি নয়। আমরা এখানে এসেছি জানতে কীভাবে রাজ্য সরকার একনায়কতন্ত্র চালিয়েছে।
এর আগে রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন।

Advertisements

এদিকে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপির কথায়, বিজেপির কর্মীরা নিজেদের চাকরির দাবিতে আন্দোলন করছিল। তাঁদেরকে মারধর করা হয়েছে। আমাকে বলা হল আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বোমা মারা হয়েছে। আমি তো এই প্রথমবার শুনলাম আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে পুলিশ বোমা মারা হয়েছে। আমি উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ছিলাম। লাঠিচার্জ করা হয়, টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বোমা মারা যায়, আমি এই প্রথমবার শুনলাম। তাঁদের জানা দরকার কীভাবে জনগণকে ছত্রভঙ্গ করতে আইপিসি এবং সিআরপিসি ব্যবহার করা হয়।

এরপরেই তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, এখানকার এক নেতা বলছেন যদি উনি থাকতেন তাহলে সোজা মাথায় গুলি করতেন। এটা থেকে স্পষ্ট পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বিজেপি কর্মীদের ওপর প্রহারের জন্য। হাড় ভাঙার আদেশ ওপরে থেকে এসেছিল। এটা স্পষ্ট।