রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন তৃণমূল কংগ্রেসের ভিতর নিজেদের স্কোর বাড়াতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে চলেছেন কুণাল ঘোষ, অপরূপা পোদ্দাররা। কেউ বলছেন ২০৩৬, আবার কারোর হিসাবে ২০২৪ সালে দলের কান্ডারি পরিবর্তন হবে। এমন জল্পনার মধ্যে তৃণমূলকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি (Dilip Ghosh) দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। মমতা জায়গা না ছাড়ায় এসব করাচ্ছে অভিষেক।
বুধাবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, আসলে এটা করানো হচ্ছে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জায়গা ছাড়ছেন না। ২০১৯ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে ব্যানার লাগিয়ে হাওয়া গরম করা হচ্ছে। ব্রিগেডের মাঠে সভা করে আওয়াজ তোলা হয়েছিল দিদিকে দিল্লি পাঠানোর। কিন্তু দিদি ৩৪ থেকে ২২-এ নেমে গেলেন। ১২টি আসন গায়েব হয়ে গেল।
এর আগে সোমবার তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের একাদশতম বর্ষপূর্তি ছিল। সেদিন ফেসবুক পোস্টে কুণাল ঘোষ লেখেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের এক সৈনিক হিসেবে বলতে পারি, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতাদি। আর সেই ২০৩৬ সালে তিনি অভিভাবকের মত উপস্থিত থাকবেন এমন অনুষ্ঠানে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেবেন অভিষেক। মুখ্যমন্ত্রিত্বে জ্যোতি বসুর রেকর্ড ভেঙে ভারতে নজির গড়বেন মমতাদি। তবে তার মধ্যে যদি দিল্লির এবং দেশের দায়িত্ব নিতে হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরেকরকম তো হবেই”।
এর পর কুণালকে একধাপ পিছনে ফেলে দিয়ে আরামবাগের টিএমসি সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ট্যুইটে লেখেন, “আমি চাই,আমাদের দিদি ২০২৪ এ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন আরএসএস মনোনীত রাষ্ট্রপতির থেকে। আর এই বিজেপির গোবরর্ধন জগদীশ ধনকরের থেকে বাংলায় ২০২৪ এ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন আমাদের প্রিয় যুবনেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়”। পরে অবশ্য সেই ট্যুইট মুছে দেন তিনি। কিন্তু কেন ট্যুইট মুছলেন তা জানা যায়নি।