মমতার পর অনন্তের ‘শাহী-সাক্ষাৎ’, জল্পনা তুঙ্গে

মুখ্যমন্ত্রীর পর এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন অনন্ত মহারাজ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক সারলেন কোচবিহারের রাজবংশী নেতা অনন্ত মহারাজ। জানা গিয়েছে,…

FotoJet 33 মমতার পর অনন্তের 'শাহী-সাক্ষাৎ', জল্পনা তুঙ্গে

মুখ্যমন্ত্রীর পর এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন অনন্ত মহারাজ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক সারলেন কোচবিহারের রাজবংশী নেতা অনন্ত মহারাজ। জানা গিয়েছে, বুধবার দিল্লিতে গিয়ে একান্তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তবে কি বিষয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে সেই বিষয় এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সম্প্রতি কোচবিহারে বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজবংশী ভোট কাছে টানতেই কি অনন্তের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা? তারপর এই প্রশ্নই ঘুরপাক খেতে শুরু করে রাজ্য-রাজনীতির অন্দরে। কিন্তু এদিন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদদের বৈঠকে দিল্লিতে তাঁর ‘অমিত-সাক্ষাত্’ ফের উস্কে দিল জলঘোলা। তবে কি ফের ‘কেন্দ্রের লাইনেই’ নিজেকে দাঁড় করালেন তিনি? নাকি  বঙ্গ রাজনীতিতে নিজেকে ক্রমশ ‘প্রাসঙ্গিক’ করে তোলার চেষ্টা নাকি ‘ভারসাম্য রক্ষা’? প্রশ্ন উঠছে এমনই। 

এবার লোকসভা ভোটে কোচবিহারে বিজেপি প্রার্থী নীশীথ প্রামানিককে কয়েক হাজার ভোটে হারিয়ে অপ্রত্যাশিত জয় পেয়েছে তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ বাসুনিয়া। রাজবংশী সম্প্রদায়ের সমর্থন ছাড়া তা কোনওভাবেই সম্ভব নয় বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল। সুতরাং, এই ফলাফলের পর বাসুনিয়ার জয়ে অনন্ত মহারাজের সংগঠনের ‘প্রচ্ছন্ন’ মদত রয়েছে বলেই মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। আর সেই সম্ভাবনার সূত্র ধরেই অনন্তের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ‘সৌজন্য’ সাক্ষাত্ করেন বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

   

ভোটের আগে কেন্দ্র প্রতিশ্রুতি রাখেনি বলে একাধিকবার দাবি করেন বিজেপি রাজ্যসভার সভাপতি অনন্ত মহারাজ। তাঁদের একাধিক দাবির অন্যতম হল বাংলা ভেঙে পৃথক কামতাপুর রাজ্যগঠন। এই দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই গোপনে বা প্রকাশ্যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে রাজবংশী সম্প্রদায়। ২০২১ সালেও পৃথক রাজ্যের দাবিতে ময়নাগুড়ি,ধুপগুড়ির মতো একাধিক জায়গায় ‘গোপন বৈঠক’ করেছিল সংগঠনের সদস্যরা। যাইহোক, অতীতের সংগ্রামী মানসিকতা ছেড়ে নির্বাচনী প্রথাতেই গত কয়েক বছরে নিজেদের প্রভাব বাড়িয়েছে রাজবংশী সম্প্রদায়।

আর বাংলার রাজনীতির ভোটব্যাঙ্কে নিজেদের অবস্থানকে আরও মজবুত করতে কী রাজ্য-কেন্দ্রের মধ্যে ‘ভারসাম্যের নীতি’ নিয়ে চলবে অনন্ত? এখন সেটাই দেখার।