স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর আসন্ন সফর সূচিতে বরফ গলবে না। বরং তাঁর সামনেই অভিযোগের বোমা ফাটাতে প্রস্তুতি চলছে বিক্ষুব্ধ বিজেপি (Bjp ) নেতাদের। বঙ্গ বিজেপির বিক্ষুব্ধরা ইতিমধ্যেই দলের অভ্যন্তরে গুঞ্জন তুলেছেন, আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে দলের গো হারা পরাজয় দরকার।
বিজেপির সাংসদ ও সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ একেবারেই ছুটির মেজাজে। তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ট্যুর করে ফিরেছেন। ঘনিষ্ঠ মহলে ভোট নিয়ে তেমন একটা উৎসাহ দেখাননি। সূত্রের খবর, দিলীপবাবু হতাশ! তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন কোনওভাবেই এখন দলকে মেরামত করা যাবে না।
বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় তাঁর সংসদীয় এলাকা হুগলিতে গত পুরনিগম ও পুরভোটে বিপুল ধাক্কা খান। বিজেপি কে সরিয়ে সিপিআইএমের উঠে আসা নিয়ে দলীয় বৈঠকে সরব হয়েছিলেন। তবে তিনিও উপনির্বাচনে নেই।
সূত্রের খবর, বিক্ষুব্ধ নেতারা ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, গো হারা হারুক দল। তবে আসানসোল যেহেতু লোকসভা কেন্দ্র তাই বিজেপি এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় হতে চাইছে। কিন্তু আসানসোলের পুরনিগম ভোটের ফলাফল বলছে সিপিআইএম মাটি কামড়ে লড়াই করবে। আর বালিগঞ্জ বিধানসভার উপায়ে নির্বাচন নিয়ে বিজেপি নিশ্চিত তারা এখানে তিন নম্বরেই নামছে। মূল লড়াই হবে টিএমসি বনাম সিপিআইএমের মধ্যে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিজেপি নেতারা বলছেন, আসানসোলের প্রচারে গুরুত্ব দেয়নি দল। পুরভোটে বিপুল পরাজয়কে টিএমসির ভোট সন্ত্রাস দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। অথচ নিজেদের গাফিলতি তুলে আনা হয়নি। বিরোধী দল হয়েও কোথাও হালে পানি পায়নি বিজেপি। আর সিপিআইএম হয়ে গেছে মূল বিরোধী পক্ষ। তার একটা পুরবোর্ড গঠন করেছে। বিজেপি নেতাদের আরও বিশ্লেষণ, লাগাতার পেট্রোপণ্যে মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়তে চলেছে ভোটে।