গাড়ি থেকে নেমে জুতো নিয়ে তেড়ে গেলেন শুভেন্দু! কী এমন হল?

ফের মেজাজ হারালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার নদিয়ার গাংনাপুরে যান শুভেন্দু। সেখানেই তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। ‘চোর চোর’…

ফের মেজাজ হারালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার নদিয়ার গাংনাপুরে যান শুভেন্দু। সেখানেই তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। ‘চোর চোর’ স্লোগানও দেওয়া হয়। এরপরই গাড়ি থেকে নেমে তেড়ে যান তিনি। গালাগালি দেওয়ার পাশাপাশি জুতোও দেখান।

উপনির্বাচনে রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপি। তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর কাছে গোহারা হেরেছেন বিজেপি প্রার্থী মনোজকুমার বিশ্বাস। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর থেকেই এলাকায় এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

   

গাংনাপুরেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের মারধর, বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এদিন সেখানেই যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু। আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে ফিরে আসার সময় স্থানীয় বাসিন্দা ও তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি।

একলপ্তে অনেকটাই ভাতা বাড়ল সরকারি স্কুলের চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার শিক্ষকদের

আচমকা বিক্ষোভের জেরে মেজাজ হারান শুভেন্দু। জনগণের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। অভিযোগ, ভিড়ের দিকে জুতোও দেখান বিরোধী দলনেতা। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে গালাগালিও দেন। কোনওক্রমে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। পরে পুলিশি ঘেরাটোপে এলাকা ছাড়েন তিনি।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গাংনাপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, ওরা ভেবেছিল কাচ উঠিয়ে পালিয়ে যাব। আমি পালিয়ে যাওয়ার লোক নই। আমার ওপর আক্রম করেছে। একা ওদের মোকাবিলা করেছি। গাংনাপুর থানার ওসি দাঁড়িয়ে থেকে দেখেছেন। ওঁর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করব।

চলতি বছর মে মাসে নন্দীগ্রামের সামসাবাদে শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে ‘চোর-চোর’ স্লোগান তোলেন তৃণমূল কর্মীরা। তমলুকের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে জনসংযোগ যাত্রায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূলী বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। সেই সময় শুভেন্দু বলেছিলেন, হাতি বাজারে চললে পেছনে অনেকেই চিৎকার করবে!

একুশের মঞ্চে এবার বড় বদল, তাক লাগানো চমক তৃণমূলের

তারও আগে বাঁকুড়ার সিমলাপালেও ‘চোর-চোর’ স্লোগানের মুখে পড়েন শুভেন্দু। সিমলাপালে শুভেন্দুর কনভয় যাওয়ার সময় লাগোয়া এলাকায় সভা চলছিল তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের। সেই সভা থেকেই, শুভেন্দু অধিকারীকে গো-ব্যাক, ‘চোর-চোর’ স্লোগান দেওয়া হয়। ক্রমাগত চোর স্লোগান শুনে মেজাজ হারান শুভেন্দু। গাড়ি থেকে নেমে তেড়ে যান তৃণমূলীদের দিকে।

একই সঙ্গে পুলিশকেও ধমক দেন বিরোধী দলনেতা। পরে শুভেন্দু বলেন, সাহস থাকলে সামনে আয়। দেখিয়ে দেব আমি কী জিনিস। পুলিশ এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করছে বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু। এই প্রথম নয়, এর আগেও বহুবার শুভেন্দুকে উদ্দেশ্য করে ‘চোর’ স্লোগান দিয়েছে তৃণমূল।

২৯ এপ্রিল নিজের খাসতালুক নন্দীগ্রামে ‘চোর-চোর’ স্লোগান শুনতে হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। ওইদিন রাতে কেন্দামারির এক মনসা পুজোয় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই সময় তাঁর কনভয় ঘিরে ‘চোর, চোর-চোরটা শিশির বাবুর ছেলেটা’ স্লোগান ওঠে। এই প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন শুভেন্দু।

২১ জুলাই তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন একঝাঁক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা

বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, পুলিশকে সামনে রেখে পিছনে পাঁচটা লোক হুঁ-হাঁ করবে আর শুভেন্দু অধিকারী ভয় পেয়ে চলে যাবে, ও সব কারবার হবে না। ওদের পুলিশ ডেকে নিয়ে এসেছে। হাতি চলে বাজার, কুত্তা ভোঁকে হাজার।