এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। এই খবর পেয়েই তল্লাশি অভিযানে নেমেছে সিবিআই। যা নিয়ে ওয়াকিবহাল মহলে চর্চা শুরু হয়েছিল। এখন সেই চর্চায় ঘৃতাহুতি দিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মন্তব্য৷ তাঁর বক্তব্য, তৃণমূলের অন্তত ১০০ জন বিধায়ক নিয়োগকাণ্ডে সরাসরি এজেন্টের কাজ করেছেন।
শুভেন্দুর কথায় ১০০ জন বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছে। অসংখ্য এমএলএ এজেন্টের কাজ করেছে। নিজের পরিবারের লোককে চাকরি দিয়েছে এবং চাকরি বেচেছে। মেধা চুরি হয়েছে। যে দিকে যাচ্ছে, আমার তো মনে হয়, বিধানসভাতে আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে তোলামুলের এমএলএ সংখ্যা ১০০-তে নেমে যাবে।
শুভেন্দুর অভিযোগ একেবারেই অমূলক নয়৷ এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ কারণ, এর আগে বহু বিধায়কদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠতে দেখা গেছে। এমনকি দলবদল করেছেন যারা, তাঁদের বিরুদ্ধে পরে সরব হয়েছে শাসক দলের নেতারাই। নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই ও ইডির হাতে যে সমস্ত তথ্য উঠে আসছে তাতে আগামী দিনে আরও বিধায়কদের সংখ্যা বাড়তে পারে।
গত শুক্রবার থেকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তে গতি বাড়িয়েছে সিবিআই। সিবিআইয়ের নজরে শাসক দলের বিধায়ক থেকে নেতারা৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বড়সড় প্রশ্নের মুখে শাসক দল। এরই মধ্যে শুভেন্দুর মন্তব্যে মাথায় হাত শাসক দলের৷