বিজেপিতেই যোগ দিচ্ছেন অধীর? ‘চলুন একসাথে লড়াই করি,’ প্রস্তাব কৌস্তভ বাগচীর

২৪-এর লোকসভা ভোটে বাংলায় ভরাডুবিরা জেরে চরম অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপি থেকে শুরু করে কংগ্রেস, বামেরা। তবে এবারে ভোটে সব থেকে বেশি লাইমলাইট কুড়িয়েছেন দিলীপ ঘোষ…

kaustubh bagchi Adhir Ranjan Chowdhury

২৪-এর লোকসভা ভোটে বাংলায় ভরাডুবিরা জেরে চরম অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপি থেকে শুরু করে কংগ্রেস, বামেরা। তবে এবারে ভোটে সব থেকে বেশি লাইমলাইট কুড়িয়েছেন দিলীপ ঘোষ এবং অধীর রঞ্জন চৌধুরী। দুজনেই খুব খারাপ ভাবে হেরেছেন। দুজনে ভোটের ফলাফল যে এমন হবে তা হয়তো কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। তবে এখন সংবাদ শিরোনামে টিকে রয়েছেন কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইতিমধ্যেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের এহেন সিদ্ধান্তে তিনি যে খুশি নন তা বারবার তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে। তবে এবার অধীর রঞ্জনকে বিশেষ প্রস্তাব দিলেন সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া কৌস্তব বাগচী।

অধীর রঞ্জনকে কৌস্তভ বাগচী এমন এক প্রস্তাব দিয়েছেন যা শোনার পর থেকে অনেকেই আশঙ্কা করছেন এবার হয়তো বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী! উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের ঠিক আগে ভাগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে সকলকে চমকে দেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভালো বাগচী। দল ছাড়ার সময় দল কংগ্রেসের প্রতি তার ক্ষোভ প্রকাশ্যে উঠে এসেছিল আর এবার অধীরের বক্তব্য এর সঙ্গে নিজের বক্তব্যের অনেকটাই মিল খুঁজে পাচ্ছেন কৌস্তভ।

   

আজ বুধবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কৌস্তভালো বাগচী লিখলেন, ‘কংগ্রেস দল ছাড়ার সময় আমার বক্তব্য আর আজকের অধীর রঞ্জন চৌধুরীরা বক্তব্যের মধ্যে মিল খুঁজে পাচ্ছি! চলুন একসাথে লড়াই করি, চলুন একসাথে বলি, No পুকুর, No নদী, চোর মমতা ছাড়ো গদী।’

পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা লোকসভায় প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ক্ষোভ আরও বেড়েছে। এই ক্ষোভের মূল কারণ তাঁকে না জানিয়ে বঙ্গ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। লোকসভা ভোটে হারের পর তাঁকে দলে একপ্রকার কোণঠাসা করেও রাখা হয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন অধীর।

অধীর রঞ্জনের উপর ক্ষুব্ধ কংগ্রেসের একটা বড় অংশ। বিশেষ করে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ফ্রন্ট খুলেছিলেন, যার ফলে বাংলায় তৃণমূল ও কংগ্রেস জোট গঠন করতে পারেনি। এ কারণেই অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলছেন, ‘একটি টিভি সাক্ষাৎকারে মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছিলেন, যদি আমাকে বাইরে রাখার প্রয়োজন হয়, তাহলে তিনি তা রাখবেন। কথাটা শুনে ভালো লাগেনি, কষ্ট লাগছিল। আমি সভাপতি ছিলাম কিন্তু আমার মতামতকে ততটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।’

এখন প্রশ্ন উঠছে সত্যি কি তাহলে বিজেপিতে যোগ দেবেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী? প্রাক্তন সতীর্থের ডাকে কি সাড়া দেবেন কংগ্রেসের এই পোড় খাওয়া নেতা? তা আগামী দিনেই খুব স্পষ্ট হয়ে যাবে।