“পায়ের কাছে রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিম! ভাগ্যিস লাথি মারেনি!”, সুকান্তকে তোপ তৃণমূলের

কলকাতা: “আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে সবার উপরে রাখি। আর বিজেপি তাঁদেরকে পায়ের নীচে রাখে!” সুকান্ত মজুমদারের জনসভার ছবি দিয়ে সমাজমাধ্যমকে তোপ দাগল তৃণমূল। ছবি…

"পায়ের কাছে রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিম! ভাগ্যিস লাথি মারেনি!", সুকান্তকে তোপ তৃণমূলের

কলকাতা: “আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে সবার উপরে রাখি। আর বিজেপি তাঁদেরকে পায়ের নীচে রাখে!” সুকান্ত মজুমদারের জনসভার ছবি দিয়ে সমাজমাধ্যমকে তোপ দাগল তৃণমূল। ছবি দেখিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে ভর্ৎসনা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর, “ভাগ্যিস লাথি মারেনি”।

সেইসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি এবং সুকান্ত মজুমদারকে তুলোধোনা করলেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। তৃণমূলের দাবি, “বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলার মনিষীদের ছবি পায়ের কাছে রেখেছে। এটা বিজেপির বাংলা-বিরোধী মুখ!” সেইসঙ্গে এক্স-এর পোস্টটিতে লেখা হয়, বাংলার বিজেপি “দিল্লির প্রভুদের তৈল মর্দনে এতই ব্যস্ত যে নিজেদের বাংলার ঐতিহ্যকে পর্যন্ত পরত্যাগ করছে। মোদী-শাহের লক্ষাধিক ছবিও বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভাষা, মনিষীদের ঢেকে ফেলতে পারবে না”।

   

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ধর্মতলায় সেনাবাহিনী তৃণমূলের প্রতিবাদ মঞ্চ খুলে দেওয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার চাঁচল কলেজে বিক্ষোভ দেখায় টিএমসিপি। সেখানে মোদী, অমিত শাহের ছবি পোড়াতে শুরু করে। একসময় রবীন্দ্রনাথের ছবিতেও আগুন ধরিয়ে দেয় চাঁচল কজেলের উন্মত্ত টিএমসিপি নেতা-কর্মীরা। রবীন্দ্রনাথের ছবি পোড়ান নিয়ে ময়দানে নেমে পড়ে বিজেপি। দল থেকে বহিষ্কৃত হয় ওই নেতা।

Advertisements

পরে তাঁকে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই নিয়ে তুমুলে ওঠে শাসক-বিরোধী তরজা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি পোড়ানয় তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হওয়ার পরেই রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমকে বিজেপি অপমান করছে বলে সরব হয়েছে তৃণমূল।