২০২৬ এর আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক পালাবদল খুব স্বাভাবিক (Trinamool)। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলই ভোটের আগে নিজেদের রণকৌশল সাজাতে ব্যস্ত। এবার রাজনৈতিক দলবদলের অকুস্থল হুগলির বলাগড়। হুগলি জেলার বলাগড় বিধানসভা কেন্দ্রে রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন মোড়।
তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) তাদের শক্তি বাড়ানোর কাজে জোর দিয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বলাগড়ের একতারপুর পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিএম-এর ১২টি পরিবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। হুগলি জেলা বিজেপির সভাপতি গৌতম চ্যাটার্জীর হাত ধরে এই যোগদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
এই কেন্দ্রে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের মনোরঞ্জন ব্যাপারী ৫৭৮৪ ভোটে বিজেপির সুভাষ চন্দ্র হালদারকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন। এর আগেও রাজ্যের বহু জেলায় এই দলবদলের ঘটনা দেখা গেছে।
তবে বলাগড়ের মত কেন্দ্রে তৃণমূল এবং সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিঃসন্দেহে বলাগড়ের মাটিতে বিজেপির পা আরও শক্ত করবে। বলাগড় বিধানসভা কেন্দ্রটি হুগলি জেলার একটি তফসিলি জাতি (এসসি) সংরক্ষিত আসন।
তবে, ২০১৯ এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপি উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে ছিল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তৃণমূলের বর্তমান বিধায়কের বিরুদ্ধে স্থানীয় স্তরে অসন্তোষ এবং দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বিজেপির জন্য সুযোগ তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিজেপি তাদের সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করছে।
বলাগড়ের রাজনৈতিক ইতিহাস দেখেলে বোঝা যায়, এই কেন্দ্রে তৃণমূল এবং বামফ্রন্টের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিযোগিতা চলে আসছে। তবে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির উত্থান এই সমীকরণে পরিবর্তন এনেছে। ২০২১ সালে তৃণমূলের জয় সত্ত্বেও, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির লিড এই অঞ্চলে তাদের বাড়তে থাকা জনপ্রিয়তার ইঙ্গিত দেয়।
পাঞ্জাব: বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭! পরিদর্শনে যাচ্ছেন শিবরাজ সিং চৌহান
তবে রাজনৈতিক মহলের আলোচনায় বার বার প্রশ্ন উঠে এসেছে তৃণমূলের নির্ভর যোগ্যতা নিয়ে। আবার কিছু রাজনৈতিক সমালোচক বলছেন ভোটের আগে রাজনৈতিক দলবদল খুব স্বাভাবিক কিন্তু ২০২৪ থেকে বিজেপির উল্লেখযোগ্য ভাবে উঠে আসা ২০২৬ এর বিধানসভায় তৃণমূলের জন্য বড়সড়ো চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে।