আগরপাড়া, ২৯ অক্টোবরঃ আগরপাড়ার (Agarpara) বাসিন্দা প্রদীপ করের আত্মহত্যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তীব্র রাজনৈতিক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস এই মৃত্যুর জন্য বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করছে, অন্যদিকে বিজেপি বলছে— প্রদীপ করের মৃত্যু রাজনৈতিক নয়, বরং অবসাদজনিত। ঘটনাটিকে ঘিরে দুই শিবিরের মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র দোষারোপের পালা।
পরিবারের দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে এনআরসি (NRC) ইস্যু নিয়ে প্রদীপ কর প্রচণ্ড মানসিক চাপে ছিলেন। ভোটার তালিকায় নিজের নাম নিয়ে বিভ্রান্তি ও আতঙ্কই তাঁকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয়। মঙ্গলবার রাতে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। খবর ছড়াতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
বুধবার সকালে প্রদীপ করের বাড়িতে পৌঁছন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিয়ে তিনি বলেন, “আমি হাতজোড় করে সকলকে অনুরোধ করছি, SIR বা NRC নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তৃণমূল কংগ্রেস আপনার পাশে আছে।”তিনি এই ঘটনার দায় সরাসরি নির্বাচন কমিশন ও মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) উপর চাপিয়ে বলেন, “মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে খেলা হচ্ছে। নাম বাদ যাওয়া বা বানান ভুলের মতো অজুহাতে মানুষকে ভয়ের মধ্যে রাখা হচ্ছে। এটি গণতন্ত্রের অপমান।” অভিষেকের কথায়, তৃণমূল ৪ নভেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে ক্যাম্প শুরু করবে, যেখানে ভোটার তালিকা ও নাগরিকত্ব সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যা সমাধানে দলীয় কর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন সুর শোনা গেল বিজেপি শিবিরে। তাদের দাবি, প্রদীপ করের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, “২০০২ সালের ভোটার তালিকায় প্রদীপবাবুর নাম ছিল। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী তাঁর নাম বাদ যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তাহলে কেন তিনি ভয় পাবেন? স্পষ্টতই এটি মানসিক অবসাদের ঘটনা।”


