এবার ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ তৈরীর মারাত্মক ষড়যন্ত্র ফাঁস সৌমিত্রর?

সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূল বিরোধী রাজনীতির অন্যতম মুখ হয়ে উঠছেন সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। ‘মিনি পাকিস্তানের’ পর এবার ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ তত্ত্বে যেন সেই ইঙ্গিতই সুস্পষ্ট (Saumitra…

Soumitra Khan Allegation: A photo of Soumitra Khan, a political leader, with a serious expression, surrounded by microphones and cameras, likely during a press conference or interview, with a caption or headline indicating allegations or controversy.

সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূল বিরোধী রাজনীতির অন্যতম মুখ হয়ে উঠছেন সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। ‘মিনি পাকিস্তানের’ পর এবার ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ তত্ত্বে যেন সেই ইঙ্গিতই সুস্পষ্ট (Saumitra Khan)। ধর্মতলায় মমতার একুশে জুলাইয়ের বক্তব্যে বাংলাদেশ নিয়ে ছিল উদারতার সুর। আর এবার সেই উদারতাকে নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ করলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ (Saumitra Khan)।

বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে এপার বাংলাও যথেষ্ট সরগরম। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে সেই আঁচই যেন এসে পড়ল তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্যে। এমনিতেই অনুপ্রবেশ এবং নাগরিকত্ব ইস্যুতে রাজ্য রাজনীতি বরাবরই সরগরম ছিল। মমতার বক্তব্য যেন সেই ইস্যুকে আবার নতুন করে জাগিয়ে তুলল। মুখ্যমন্ত্রী এদিন তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, ‘কোন অসহায় মানুষ যদি বাংলার দরজায় খটখট করে, এক্ষেত্রে আমরা তাদের অবশ্যই আশ্রয় দেব।’

   

আর এই কথার পরেই শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা। বিষ্ণুপুরে নিজের সংসদীয় এলাকায় যদুভট্ট মঞ্চে সাংগঠনিক সভায় উপস্থিত ছিলেন সৌমিত্র (Saumitra Khan)। বিজেপির এই কার্যকরণী সভাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। তিনি বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যকে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ তৈরি করার চেষ্টা করছেন।

রাজ্যসভায় নতুন বিল! পাশ হলেই অভিজিৎ গাঙ্গুলীকে ছাড়তে হবে রাজনীতি?

এখানেই তিনি থেমে থাকেননি, করেছেন আরও বড় অভিযোগ। তার দাবি ১৭ কোটি বাংলাদেশীদের মধ্যে থেকে সুযোগ বুঝে প্রায় ৩ থেকে ৪ কোটি বাংলাদেশীকে এদেশে ঢোকাবার প্ল্যান করছে তৃণমূল সরকার। তাঁর দাবি, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে জানাবেন। বিষয়টি শুধু রাজ্যের সমস্যা নয় গোটা দেশের জাতীয় নিরাপত্তার সমস্যা বলেও জানান সৌমিত্র।

এর আগেও বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ সমস্যাতে পশ্চিমবঙ্গের শরণার্থী এবং উদ্বাস্তুদের ঢল নেমেছিল। উদ্বাস্তু সমস্যা নিয়ে মরিচঝাপির মত ঘটনা আজও নাড়া দিয়ে যায় সাধারণ মানুষের মনকে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ অবস্থা কিছুটা হলেও সেই পুরনো দুঃস্বপ্নকে মনে করিয়ে দিচ্ছিল।

আর এরকম আবহেই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে রাজনৈতিক পারদ চড়বে, এটাই স্বাভাবিক ছিল। লোকসভার আগেও নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে সরগরম ছিল বঙ্গ রাজনীতি। ২০২১ – তৃণমূলের জয়ের অন্যতম কারণ বলে ধরে নেওয়া হয় নাগরিকত্ব, এনআরসি ইস্যুকেও। রাজ্যের বিরোধী দল বারংবার অনুপ্রবেশকারী এবং তাদেরকে বেআইনি নাগরিকত্ব দিয়ে ভোট ব্যাঙ্কে পরিণত করার অভিযোগ তুলেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে ।

ধর্মতলার শহীদ দিবসের সভাতে মমতার এই বক্তব্য তাদের হাতে যেন আরও একটা বড় অস্ত্র তুলে দিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সৌমিত্রকে নিয়েও কিন্তু বড় প্রশ্ন উঠেছিল রাজনৈতিক মহলে। একটা সময় এমনও শোনা যাচ্ছিল যে লোকসভায় জেতার পরপরই তিনি দলবদল করতে পারেন।

তৃণমূলে ফিরছেন অর্জুন-তাপস? একুশের মঞ্চে মমতার মন্তব্যে শুরু জল্পনা

কিন্তু সংসদ হোক বা দলীয় সভায়, তৃণমূল বিরোধী আক্রমণের ধার যেন ক্রমশই বাড়িয়ে চলেছেন সৌমিত্র। নিজের দলের অভ্যন্তরে রীতিমতো ডামাডোল চলছে। আর এই পরিস্থিতিতেই একনিষ্ঠ ভাবে সরকার বিরোধিতা করা সৌমিত্র কী কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছেও মার্কস বাড়াতে চাইছেন? সৌমিত্রর ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ তত্ত্বের পর সেই সম্ভাবনা খুব একটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।