১৭ জেলায় নতুন সভাপতি নিয়োগ বিজেপির, খোয়া গেলো একাধিক বিধায়কের পদ

বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ ইউনিট শুক্রবার ২৫টি নতুন সাংগঠনিক জেলা সভাপতির তালিকা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১৫ জন নতুন মুখের অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে,…

bjp-appoints-new-district-presidents-in-17-districts-multiple-mla-positions-lost

short-samachar

বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ ইউনিট শুক্রবার ২৫টি নতুন সাংগঠনিক জেলা সভাপতির তালিকা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১৫ জন নতুন মুখের অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, বাকি ১৮ জন সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে এবং সম্ভবত আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাদের নাম ঘোষণা করা হবে।

   

পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির সাংগঠনিক জেলা মোট ৪৩টি, যা রাজ্যের ৪২টি লোকসভা এবং ২৯৪টি বিধানসভা আসনকে কভার করে। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, একবার পুরো তালিকা ঘোষণা হয়ে গেলে, তার পরই দলের রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। রাজ্য সভাপতি হিসেবে বর্তমানে দায়িত্বে থাকা বিজেপির লোকসভা সদস্য শ্রী সুকান্ত মজুমদার বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে কর্মরত আছেন। বিজেপি “এক ব্যক্তি, এক পদ” নীতিতে বিশ্বাসী হওয়ায়, শ্রী মজুমদারের রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এবং বিধায়ক দীপক বর্মন, যিনি দলীয় সাংগঠনিক নির্বাচন পরিচালনা করেছিলেন, তিনি ২৫ জন নতুন সাংগঠনিক জেলা সভাপতির নাম ঘোষণা করেছেন। নতুন তালিকা অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের ৬টি জেলা এবং দক্ষিণবঙ্গের ১৯টি জেলার নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

এই ঘোষণায় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করেছে তামলুক এবং কাঁথি সাংগঠনিক জেলা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এই দুটি সাংগঠনিক জেলা, যা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জন্মস্থান, রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং এখানে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা নিয়ে অনেক জল্পনা ছিল।

তামলুকের সাংগঠনিক জেলা সভাপতির পদে পরিবর্তন আসা ছিল। কারণ, তামলুকের প্রাক্তন জেলা সভাপতি এবং একই জেলার হালদিয়া বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। তাপসী মণ্ডলের জায়গায় নতুন সভাপতি হিসেবে মলয় সিনহা কে নিয়োগ করা হয়েছে। মলয় সিনহা একজন অভিজ্ঞ সংগঠক, যিনি দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।

কাঁথি সাংগঠনিক জেলা থেকেও পুরনো সভাপতি পরিবর্তিত হয়েছেন। তবে, কাঁথির নতুন সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হিসেবে কার নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে রাজনৈতিক মহলে এই নিয়োগকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সুকান্ত মজুমদারের রাজ্য সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে তার স্থানে নতুন সভাপতি নিয়োগের প্রক্রিয়া খুব শীঘ্রই শুরু হবে। বিজেপির “এক ব্যক্তি, এক পদ” নীতি অনুযায়ী, মজুমদারকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদে থাকার কারণে রাজ্য সভাপতির পদ ছাড়তে হবে। এর ফলে, রাজ্য সভাপতির পদে কে আসবেন, সে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ ইউনিটে এই নতুন সাংগঠনিক জেলা সভাপতি নিয়োগের পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় নেতৃবৃন্দ এবং সমর্থকরা আত্মবিশ্বাসী যে, এটি দলকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। বিশেষত, উত্তরবঙ্গের ৬টি জেলা এবং দক্ষিণবঙ্গের ১৯টি জেলার নতুন সভাপতির নিয়োগ দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।