বীরভূম: হোলির দিন দু’পক্ষের সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নামে পুলিশ৷ অবশেষে ২০ জনকে আটক করা হয়৷ উত্তজনা প্রশমিত করতে সংঘর্ষের পরই ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন৷ পাশাপাশি এলাকায় মোতায়েন করা হয় নিরাপত্তা বাহিনী৷
শুক্রবার, সাঁইথিয়া শহরে মত্ত অবস্থায় থাকা কিছু লোকের সঙ্গে এক গোষ্ঠীর বাকবিতণ্ডা শুরু হয়৷ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকেই শুরু হয় হাতাহাতি-মারপিট৷ একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে তারা৷ সংঘর্ষের জেরে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে খবর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
এই ঘটনার পরই ১৪ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত সাঁইথিয়া পৌরসভা ও পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ইন্টারনেট এবং ভয়েস-ওভার-ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ তবে, ফোন কল এবং এসএমএস সেবা কার্যকর থাকবে। গুজব ছড়ানো ও অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ।
পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষের মধ্যে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেনি এবং পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত। তবে, ২০ জনেরও বেশি লোককে আটক করা হয়েছে, যাদের সরাসরি সংঘর্ষের জড়িত ছিলেন৷
বিজেপির সমালোচনা: ‘বীরভূম ব্লাস্ট ফ্যাক্টরি’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বীরভূমকে “ব্লাস্ট ফ্যাক্টরি” বলেও মন্তব্য করেন৷ উল্লেখ্য, অতীতে এই জেলা থেকেই কেজি কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল।
সুকান্ত আরও বলেন, “তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে আগেও বীরভূমে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। সরকার বীরভূমকে ‘ব্লাস্ট ফ্যাক্টরি’তে পরিণত করেছে।” তিনি পুলিশ বাহিনীকে “অকার্যকর” ও “রাজনীতিকরণ” হয়ে পড়ার অভিযোগও করেন।
এদিকে, পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে যে পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এবং শান্তি বজায় রাখতে কঠোর নজরদারি চলছে।