দুর্ঘটনার (Bikaner Express) সঠিক কারণ এখনও জানা নেই। তদন্ত রয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করেছে, লোকোমোটিভে সমস্যার কারণে এই দুর্ঘটনা।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টায় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুতি তুলে দিয়েছে অনেক প্রশ্ন। রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে আলোচনা। আগামী দিনগুলিতে একের পর এক ভোট রয়েছে দেশজুড়ে। তারা আগেই রেল দুর্ঘটনায় ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন কেউ কেউ। বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত দাবি করেছেন।
শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই বিকানের এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার শিকার, ঘটনাস্থল ময়নাগুড়িতে বলেছেন তিনি। মন্ত্রীর কথায়, ‘আপাতত লোকোমোটিভের কোনো অংশে গোলযোগ বলেই মনে হচ্ছে। রেলের নিরাপত্তা কমিশন বিষয়টা তলিয়ে দেখছে। সমস্যাটা ঠিক কোথায় আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।’
কিন্তু সূত্র বলছে অন্য কথা। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ- ইঞ্জিনেই হয়তো সমস্যা ছিল। যন্ত্রাংশে সমস্যার অনুমান হয়তো ঠিক না। কারণ যখন দুর্ঘটনা ঘটে, তখন ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় ছুটছিল ট্রেন। ডিজি চূড়ান্ত রিপোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত হলফ করে কিছু বলা সম্ভব নয়।
দুর্ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শীদেরও একাংশ দাবি করেছিলেন, দ্রুত গতিতে ছুটছিল ট্রেন। গতিবেগ বেশি থাকার কারণে একটি বগি উঠে গিয়েছিল অন্য বগির ওপর। লাইনচ্যুত ১২ টি বগি। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯। আহত ৫০- এর কাছাকাছি।