কলকাতা, ২ অক্টোবর: শরৎকালের সূচনায় বাংলায় আবহাওয়া অপ্রত্যাশিত। ভারতীয় আবহাওয়া অফিস (Weather Update)-এর পূর্বাভাস অনুসারে, আজ উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রপাতসহ বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সপ্তাহের প্রথম অর্ধেকের (২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর) পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, উত্তর বঙ্গে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থেকে ব্যাপক হালকা-মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
বিশেষ করে, উত্তর বঙ্গের কিছু অংশে বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা বজ্রপাতের সঙ্গে যুক্ত। দক্ষিণ বঙ্গের উপকূলীয় এলাকায়ও ভারী থেকে খুব ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তাপমাত্রা এবং বাতাসের বিস্তারিত তথ্য না থাকলেও, সাধারণত ২৮-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে।
উত্তর বঙ্গের জন্য বলা হয়েছে, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থেকে ব্যাপক হালকা-মাঝারি বৃষ্টি/বজ্রপাতসহ বর্ষণ খুবই সম্ভব। বিশেষ করে, সপ্তাহের শেষভাগে (যার মধ্যে ২ অক্টোবর অন্তর্ভুক্ত) বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই অঞ্চলে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা এবং পূর্ব বর্ধমানের কিছু অংশ প্রভাবিত হতে পারে।
বাতাসের গতি নির্দিষ্ট না হলেও, দক্ষিণ-পশ্চিম মনসুনের অবশিষ্টাংশের কারণে হালকা বাতাস বইতে পারে। আইএমডি সতর্ক করে বলেছে, বজ্রপাতের সময় বাইরে থাকা এড়িয়ে চলুন এবং নিম্নচাপময় এলাকায় পাহাড়ি রাস্তায় সতর্কতা অবলম্বন করুন। দক্ষিণ বঙ্গের ক্ষেত্রে পূর্বাভাস আরও গুরুতর।
এখানে ব্যাপক থেকে সর্বব্যাপী হালকা-মাঝারি বৃষ্টি/বজ্রপাতসহ বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সপ্তাহের প্রথম অর্ধেকে (প্রধানত ২৭ সেপ্টেম্বর) উপকূলীয় এলাকায় বিচ্ছিন্ন ভারী বৃষ্টি, এবং সপ্তাহের শেষে কিছু জেলায় ভারী থেকে খুব ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং বীরভূমের মতো এলাকায় এর প্রভাব পড়তে পারে। উপকূলীয় জেলাগুলিতে সমুদ্রের ঢেউ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা জেলে-বাঁধানো এলাকায় জলাবদ্ধতা ঘটাতে পারে।
আইএমডি-এর কলকাতা অফিস জানিয়েছে, “আজ দক্ষিণ বঙ্গে বৃষ্টির কারণে দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। মাছ ধরতে যাওয়া নৌকাবাইচরা সতর্ক থাকুন।” এই আবহাওয়ার পটভূমি বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ এবং পশ্চিমবঙ্গের উপর দক্ষিণ-পশ্চিম মনসুনের অবশিষ্ট প্রভাব। গত সপ্তাহে কলকাতায় ৫০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে, যা জলাবদ্ধতার কারণ হয়েছে।
“নতুন পৃথিবীর রূপকার ভারত” মন্তব্য ইজরায়েলি প্রাক্তন দূতের
আজকের পূর্বাভাস অনুসারে, উত্তর বঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে, যখন দক্ষিণে নদীগুলির জল বাড়তে পারে। আইএমডি-এর সতর্কবাণীতে বলা হয়েছে, “বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টির কারণে কৃষি ক্ষেত্রে ক্ষতি হতে পারে। কৃষকরা ফসল রক্ষায় সতর্কতা নিন।” তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩০-৩২ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২৫-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে, যদিও আর্দ্রতা বেশি থাকায় গরম অনুভূত হবে।