আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত ভাঙড়, পরস্পরকে তুলোধোনা নওশাদ-শওকতের

Bhangar TMC ISF Clash

ভাঙড়: কলকাতা পুলিশের তত্ত্বাবধানে আনা হলেও ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নির্বাচনের আগে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। মঙ্গলবার রাতে ভাঙড়ের ২ নম্বর ব্লকের ছেলেগোয়ালিয়া এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস ও ইসলামিক সোসাইটির ফ্রন্ট (ISF) কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দু’জন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন। অপরপক্ষে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে আইএসএফ কর্মীদের গালিগালাজ করার অভিযোগও উঠেছে।

Advertisements

তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে হামলা

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল শানপুকুর অঞ্চলের মাঝের আইটি এলাকায় একটি পার্টি অফিস উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শতাধিক সমর্থক। অভিযোগ, এই সময় রাস্তার ধারে বসে থাকা তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় এবং মাচাটি ভাঙচুর করা হয়। ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার দাবি, এই ঘটনায় দুই কর্মী আহত হয়েছেন।

এক তৃণমূল কর্মী নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, “সন্ধেবেলা আমরা মাচায় বসেছিলাম। নওশাদ সিদ্দিকী মিছিল করে যাচ্ছিলেন। তাঁর চলে যাওয়ার পর আইএসএফের লোকজন এসে আমাকে মারধর করেছে। আমি তৃণমূল করি বলেই আমাকে লক্ষ্য করা হয়েছে।”

প্রতিবাদ মিছিলের ডাক শওকতের Bhangar TMC ISF Clash

ঘটনার খবর পেয়ে শওকত মোল্লা এলাকায় পৌঁছে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শওকত মোল্লা বৃহস্পতিবার এলাকায় প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেন, “নওশাদ সিদ্দিকীর মিছিলের পর আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। ভাঙড়ে পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাওয়ায় আইএসএফ এমন করছে।”

Advertisements

অভিযোগ অস্বীকার নওশাদের

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, “কোনও ঝামেলা হয়নি। আমাদের মিছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ছিল। নাটক বন্ধ হওয়া উচিত। যদি পুলিশ ব্যবস্থা না নেয়, তবে আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে জবাব দেব।”

প্রসঙ্গত, সোমবার রাতেও ভাঙড়ের ভোগালি দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুমরু গ্রামে বাজি পোড়ানোকে কেন্দ্র করে আইএসএফ ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে।