নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তায় বাংলা ভাষার ‘গণধর্ষণ উৎসব’ শুরু

কেউ লিখছেন, আর লিখেই মনের আনন্দে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। যিনি পাচ্ছেন সেই বার্তা তিনিও সেটি আরও শতাধিক জনকে পাঠাচ্ছেন। উদ্দেশ্য, বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা আদান প্রদান। এসবই…

short-samachar

কেউ লিখছেন, আর লিখেই মনের আনন্দে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। যিনি পাচ্ছেন সেই বার্তা তিনিও সেটি আরও শতাধিক জনকে পাঠাচ্ছেন। উদ্দেশ্য, বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা আদান প্রদান। এসবই ঠিক। একটু খেয়াল করলেই বোঝা যাবে এই শুভেচ্ছা বার্তায় চলছে বাংলা ভাষার ‘গণধর্ষণ উৎসব’।

   

এ ধরনের বার্তায় ভাষার ভুল, বানানের ভুল রীতিমতো চোখে লাগে। তার থেকেও বড় বিষয়, কী লেখা হচ্ছে না দেখেই সেই ভুলে ভরা বার্তা হুড়মুড়িয়ে অন্যকে পাঠিয়ে নিজেকে বাঙালি চিহ্নিত করার মারাত্মক চেষ্টায় আদতে ভাষার ধর্ষণ এমনই মনে করছেন অনেকে।

কয়েকজনের ধারণা, বাংলা ভাষার বানান নিয়ে যে ভুলে ভরা চর্চা চলে প্রতিনিয়ত তার জন্য বহুলাংশে অভিযুক্ত হবে সংবাদ মাধ্যম। বিশেষত বাংলা অন্তর্জাল সংবাদ দুনিয়া। ওয়েব পোর্টালগুলিতে বাংলা বানানের রোজ ধর্ষণ হয়, এমনই অভিযোগ।

সেই রেশ ধরে এবারেও বাংলা বর্ষবরণের দিনে চলছে ভুলে ভরা বাংলা বার্তা পাঠানোর হুড়োহুড়ি। তারই একটি,
“একবিংশ শতাব্দীর তরুণী হয়ে, না হয়ে নিজের সসংস্কৃতি টাই আকড়ে রাখি। নাই বা বল্লাম Happy Bengali New year, শুভ নববর্ষ টাই বলতে শিক্ষি। শুভ নববর্ষের প্রিতী ও শুভেচ্ছা।”

এ ধরণের আরও বার্তা ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কেউ মেসেঞ্জারে, কেউ হোয়াটসঅ্যাপ, কেউ ফেসবুক বা অন্যান্য আরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই বার্তা শেয়ার করছেন। পরমুহূর্তে ভুল বানানের বার্তার নিজেকে হাস্যকর করে তুলছেন। মন্তব্যের ঝড়ে বেসামাল হয়ে ভুল বুঝতে পেরে সেটি তুলে নিচ্ছেন।

কিছু ভাষাবিদের অভিযোগ, একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায় এ ধরণের বার্তা ছড়ানোর অন্তরালে আছে বাংলা বিরোধী মানসিকতার রাজনীতি। যারা এমন করে তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সক্রিয়তা প্রবল। ফলে নীরবে বাংলা ভাষার গণধর্ষণ করার উৎসব চলছে বাংলা বর্ষবরণের দিনে।